আলাদা মনোনয়ন, মান্নানের ঘরে পার্থ

বিধানসভার সচিবের ঘরে সোমবার বেলা ১টা নাগাদ তৃণমূলের চার ও কংগ্রেসের এক প্রার্থী একসঙ্গে মনোনয়ন জমা দেবেন বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ১টা বাজার একটু আগেই কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মনোনয়ন জমা দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৩:৫৩
Share:

একসঙ্গে রাজ্যসভার ভোটে লড়লেও মনোনয়ন পেশের সময়ে আলাদাই থাকল কংগ্রেস ও তৃণমূল।

Advertisement

বিধানসভার সচিবের ঘরে সোমবার বেলা ১টা নাগাদ তৃণমূলের চার ও কংগ্রেসের এক প্রার্থী একসঙ্গে মনোনয়ন জমা দেবেন বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ১টা বাজার একটু আগেই কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি মনোনয়ন জমা দেন। তার পরে মনোনয়ন পেশ করেন তৃণমূলের চার প্রার্থী নাদিমুল হক, শুভাশিস চক্রবর্তী, আবির বিশ্বাস এবং শান্তনু সেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য কংগ্রেস ও তৃণমূল প্রার্থীরা ‘শুভক্ষণ’ বাছলেও ঘণ্টা দুয়েক আগেই কাজ সেরে নিয়েছেন বাম প্রার্থী রবীন দেব।

দলের চার প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরে তৃণমূল তাদের বাকি ভোট কংগ্রেস প্রার্থীকে দেবে বলে আগেই ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সমন্বয়ের বার্তা দিতেই মনোনয়ন-পর্বের পরে দলের চার প্রার্থীকে নিয়ে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের ঘরে যান তৃণমূলের মহাসচিব ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের প্রার্থীদের সঙ্গে সিঙ্ঘভির পরিচয় করিয়ে দেন পার্থবাবু। তৃণমূল সূত্রের খবর, রবিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি বাড়িতেও সিঙ্ঘভির সঙ্গে কথা হয়েছে পার্থবাবুর। বিধায়ক-সংখ্যার নিরিখে তৃণমূলের চার প্রার্থীর জয় নিশ্চিত হলেও পঞ্চম আসনে ভোটাভুটি অনিবার্য। সেখানে কারা কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন, তা-ও স্থির করে দেওয়া হবে দলের তরফে।

Advertisement

তৃণমূলের সমর্থন পেলে সহজেই জিতে যাবেন সিঙ্ঘভি। বাম প্রার্থী রবীনবাবু তাই জেতার ব্যাপারে কোনও ‘ম্যাজিক’ দেখছেন না। তাঁর জেতার সম্ভাবনা প্রায় নেই জেনেও কেন প্রার্থী হলেন, তা নিয়ে রবীনবাবুর জবাব, ‘‘নীতির প্রশ্নে প্রার্থী হয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন