টিভির পর্দায় বোমা-বন্দুক হাতে ‘ভোটশিল্পী’দের অবাধে ঘুরতে দেখা গেলেও পুজালি, ডোমকল বা রায়গঞ্জে এমন কাউকে তারা দেখেনি বলে দাবি করছে তিন জেলার পুলিশ! তাই তিন পুরসভা মিলিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা ১০! কোথাও সাতটি বোমা উদ্ধার হয়েছে তো কোথাও একটি পিস্তল! পুলিশের হিসেবেই যে ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ, সেখানেও তিন পুরসভার ছ’টি বুথে পুনর্নির্বাচনের ঘোষণা করতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশ জানিয়েছে, পুজালির ভোটে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জনের বাড়ি ক্যানিং, বিষ্ণুপুর, জয়নগর এলাকায়। যে ৮টি বাইক আটক হয়েছে, সে গুলির মালিক মহেশতলা-বজবজ পুর এলাকার। আমজনতা মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা দেখলেও পুলিশ পেয়েছে মাত্র সাতটি! কোনও আগ্নেয়াস্ত্র পায়নি তারা!
রায়গঞ্জে ধৃত দু’জনের মধ্যে এক জন নিজেকে তৃণমূল কর্মী হিসেবে দাবি করেছে। তার বাড়ি শহরের বাইরে। তার কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল মিলেছে। অপর জন কংগ্রেস কর্মী। রায়গঞ্জে কাউকে অবশ্য আগাম আটক করেনি পুলিশ। ডোমকলের ভোটে দিনভর বন্দুক হাতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে ‘আগন্তুক’দের। পুলিশ আমিনাবাদ থেকে যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে, তারা কংগ্রেস কর্মী। পুলিশ স্থানীয় স্তরে জানিয়েছে, শাসক দলের কেউ গোলমাল পাকিয়েছে এ কথা তাঁদের অজানা। ডোমকলে পুলিশ না পেয়েছে বোমা-বারুদ, না ধরেছে কোনও দুষ্কৃতীকে!
যা দেখেশুনে বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘পুলিশ, তৃণমূল এবং কমিশন এক হয়ে ভোট করল। আর বলছে, বিজেপি গোলমাল পাকিয়েছে! তা হলে বিজেপির কেউ গ্রেফতার হল না কেন?’’ তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘বহিরাগতদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। হতেই পারে বিজেপির পাঠানো লোকজন ধরা পড়ে নিজেদের তৃণমূল বলে দাবি করছে।’’