শিশুপণ্য ১

নারী পাচারেও জেল খেটেছে তপন ডাক্তার

শিশু, কিডনি পাচারের পরে এ বার নারী পাচারের অভিযোগও সামনে এল ধৃত হাতুড়ে ‘ডাক্তার’ তপন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ২০০৫ সালে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে ধরা পড়ার পরে সে জেল খেটেছিল বলে জানান তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:২০
Share:

হাতুড়ে ‘ডাক্তার’ তপন বিশ্বাস

শিশু, কিডনি পাচারের পরে এ বার নারী পাচারের অভিযোগও সামনে এল ধৃত হাতুড়ে ‘ডাক্তার’ তপন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ২০০৫ সালে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে ধরা পড়ার পরে সে জেল খেটেছিল বলে জানান তদন্তকারীরা।

Advertisement

২০০৫ সালের মার্চ মাসের ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার বড়া গ্রামের বছর চোদ্দোর বীণা সরকারকে অপহরণের অভিযোগে ধরা পড়ে তপন ও তাঁর শাগরেদরা। খোঁজ মেলেনি মেয়েটির।

মনোরঞ্জন সরকারের দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বীণা ছোট। মেয়ে হারানোর যন্ত্রণা এখনও তাজা মা পুষ্পদেবীর মনে। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে মরে গেলে অন্য কথা। কিন্তু বেঁচে আছে না মরে গিয়েছে, সেটাই তো জানতে পারলাম না।’’ তবে সিআইডি তপনকে গ্রেফতার করায় এ বার খবর মিলতে পারে বলে তাঁর আশা।

Advertisement

এক তদন্তকারীর কথায়, তপনের সঙ্গে নারীপাচারচক্রের যে যোগাযোগ রয়েছে, তার বহু তথ্য হাতে এসেছে। তপনকে জেরা করে বহরমপুরের এক হোটেল থেকে শনিবার ৩ বাংলাদেশি নাবালিকা উদ্ধার করা হয়। হোটেলের ম্যানেজার সহ ৩ জনকে ধরা হয়েছে। বাদুড়িয়া কাণ্ডে তপন গ্রেফতারের আগে নানা জায়গায় ডেরা বেঁধে ছিল। ওই সময় বাংলাদেশের কয়েক জনের সঙ্গেও তপন ফোনে কথা বলে। ওই সূত্র ধরে তপনের নারীপাচার চক্রের সঙ্গে যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি নাবালিকা-সহ অসহায় মহিলাদের এ দেশে আনার ব্যবস্থা করত তপন। সে তাদের যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দিত বলে তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযোগ, যৌনপল্লিতে ওই মহিলাদের সন্তান হলে তা পাচার করত সে। তপন এমন একাধিক পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা।

রবিবার দুপুরে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের পাশে একটি নার্সিংহোম পরিদর্শনে গিয়ে সেটির অপারেশন থিয়েটার ‘সিল’ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। অভিযোগ, সেখানে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নার্সিংহোমটির মালিক জ্ঞানরঞ্জন হালদার। যিনি সর্ম্পকে কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদারের ভাই। যদিও যোগরঞ্জনের দাবি, ‘‘ওই নার্সিংহোমের বিষয়ে কিছু জানি না।’’ জ্ঞানরঞ্জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। জবাব মেলেনি এসএমএসের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন