health

রোগী মৃত্যুর জের, দেখুন কী ভাবে মারা হল চিকিৎসককে

রবিবার রাত ১১টা নাগাদ হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেওই রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিত্সক বিপুল ঘোষকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হেমতাবাদ শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৮ ১৮:২১
Share:

সেই চিকিত্সক। নিজস্ব চিত্র।

চিকিত্সায় গাফিলতির জেরে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলেউত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে বেধড়ক মারধর করা হল সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসককে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি।

Advertisement

রবিবার রাত ১১টা নাগাদ হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেওই রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিত্সক বিপুল ঘোষকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রাতেই জখম ওই চিকিৎসককে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর মাথায় ও ঘাড়ে চোট লেগেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।

সোমবার সকালে মৃতের পরিবারের তরফে বিপুল ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, হেমতাবাদ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তরফেও পুলিশের কাছে চিকিত্সককে মারধর ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।জেলার পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, ‘‘সোমবার ওই রোগীর দেহ রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তার রিপোর্ট হাতে আসলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Advertisement

দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: বিধায়ককে হেনস্থা, অভিযুক্ত বিজেপি

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃত ওই রোগীর নাম সাবেদা খাতুন(৫৫)। তাঁর বাড়ি হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটকান্ত এলাকায়! সাবেদার ছেলে সবেদ আলির দাবি, তাঁর মায়ের আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল! সোমবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়িতেই সাবেদার শ্বাসকষ্ট-সহ বুক ও পেটে ব্যথা শুরু হয়। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁকে হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান তাঁরা।

অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর ১০মিনিটেরও বেশি সময় ধরে সাবেদাকে বিনা চিকিত্সায় ফেলে রাখা হয়। এরপর চিকিত্সক বিপুল ঘোষ সাবেদাকে দেখেন। তাঁর নির্দেশে একজন নার্স সাবেদাকে একটি ইঞ্জেকশন ও স্যালাইন দেন। কিছুক্ষণ পর আর একটি ইঞ্জেকশন দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সবেদের অভিযোগ, বিপুলবাবু ও নার্সদের গাফিলতির জেরেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

চিকিত্সককে মারধরের পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: ডাক্তারবাবু কই! খোঁজে হাসপাতাল

এর পরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বহির্বিভাগ, জরুরিবিভাগ, স্টোররুম-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক দরজা, জানালা, কাচ, প্লাইউডের দেওয়াল, চেয়ার, টেবিল, ডাস্টবিন এবং একটি সিসি ক্যামেরা, ট্রলি-সহ বিভিন্নসামগ্রী ভাঙচুর করা হয়। ব্যাপক মারধর করা হয় বিপুলবাবুকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই রোগিণীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন