TMC Government Initiatives

২৬ দিনেই এক কোটির গণ্ডি ছুঁল মমতার ‘পাড়া’ প্রকল্প! বিবিধ সমস্যা নিয়ে শিবিরে শিবিরে ভিড়

রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ তাঁদের সমস্যা নিয়ে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের শিবিরে আসছেন। মাত্র ২৬ দিনে এই প্রকল্পের ১৪,৫০০টি শিবিরে এক কোটির বেশি মানুষ যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৫ ১৩:২৭
Share:

‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্প নিয়ে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পে সাধারণ মানুষের উৎসাহ দেখে গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র ২৬ দিনে এই প্রকল্পে মানুষের যোগদান ছুঁয়ে ফেলেছে এক কোটির গণ্ডি। অর্থাৎ, এক কোটির বেশি মানুষ ২৬ দিনে এই প্রকল্পের শিবিরে যোগ দিয়েছেন। নিজেদের পাড়া এবং আশপাশের এলাকার বিবিধ সমস্যা তুলে ধরেছেন। সরকারি কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা সেই সমস্যা খতিয়ে দেখে কী ভাবে সমাধান সম্ভব, তার রূপরেখা তৈরি করছেন। মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Advertisement

মমতা সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ তাঁদের সমস্যা নিয়ে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের শিবিরে আসছেন। মাত্র ২৬ দিনে এই প্রকল্পের ১৪,৫০০টি শিবিরে এক কোটির বেশি মানুষ চলে এসেছেন। এত দ্রুত আমরা এক কোটির গণ্ডি ছুঁতে পেরেছি, তার জন্য সকলকে অভিনন্দন।’’ প্রকল্পে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান রাজ্যের সুশাসনকে চিহ্নিত করে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর কথায়, ‘‘এমন একটা আর্থসামাজিক প্রকল্পে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান রাজ্যের গণতান্ত্রিক সুশাসন এবং সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত করছে। সকল জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের নিরলস পরিশ্রমকে আন্তরিক কুর্নিশ জানাচ্ছি। এ ভাবে রাজ্যের প্রত্যেকটা মানুষের দুয়ারে আমরা পৌঁছে যেতে পারছি। আমাদের উপর ভরসা রাখার জন্য রাজ্যের মানুষকেও ধন্যবাদ।’’ আগামী দিনে সরকারের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে মমতা লেখেন, ‘‘সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে সব সময় বদ্ধপরিকর। আগামী দিনেও মা-মাটি-মানুষের সরকার মানুষের পাশে থাকবে।’’

গত ২ অগস্ট থেকে রাজ্যে এই নতুন সরকারি প্রকল্প চালু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন, রাজ্যের প্রতিটি বুথের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হচ্ছে। কিসে সেই টাকা খরচ হবে, তা এলাকার মানুষই ঠিক করবেন। সেই মতো, প্রতি শিবিরে থাকছেন সরকারি আধিকারিক। মানুষের সমস্যার কথা শুনে শংসাপত্র দিয়ে তাঁরা প্রকল্পে সিলমোহর দিচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার, বার্ধক্যভাতা-সহ মোট ৩৭টি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা মিলছে এই শিবিরগুলিতে। এ ভাবে সরকারের প্রকল্পকে বুথ স্তরে নিয়ে যেতে চান মমতা। মনে করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প। শুরু থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রকল্প সাফল্য পাচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement