Thunderstorm

ঝড়ের বলি: বাড়ি ধসে উলুবেড়িয়ায় মৃত্যু, বাগনানে গাছ পড়ে প্রাণহানি, মৃত্যু পাঁশকুড়াতেও!

সোমবার বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলাগুলিতে। হাওড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ফুলচাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হাওড়া ও পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ২২:০৭
Share:

সোমবারের ঝড়ে দুই জেলার মোট তিন বাসিন্দার মৃত্যুর খবর মিলেছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। —প্রতীকী চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব বাংলায় পড়েনি। কিন্তু ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ের তাণ্ডবে প্রাণ গেল ৩ জনের। হাওড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে এই প্রাণহানির খবর এসেছে। এ ছাড়া ঝড়ের দাপটে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

সোমবার বিকেলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার শ্রীধরবসান গ্রামের বাসিন্দা শেখ আশরফ খান (৬২) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ে রাস্তার বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। তাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন আশরফ।

হাওড়ার উলুবেড়িয়াতে প্রবল ঝড়ে একটি বাড়ির টালির চাল ভেঙে যায়। তাতে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। উলুবেড়িয়ার বাহিরা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রামচন্দ্র মণ্ডল (৬৫)। বিকেলে একাই তিনি বাড়িতে ছিলেন। ঝড়ে বাড়ির টালির চাল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তাতে আহত হন ওই বৃদ্ধ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাওড়ার বাগনানে গাছ চাপা পড়ে ১ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রজনী পাণ্ডে ( ৪২)। স্থানীয় সূত্রে খবর, কোনও কাজে বেরিয়ে ঝড়বৃষ্টির কারণে রাস্তার ধারে একটি গাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখনই গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

সোমবার বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে হাওড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ফুলচাষের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েক বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক তাপপ্রবাহের পর সোমবারের ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির ফলে গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাস, মোরগা প্রভৃতি ফুলচাষের ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। স্টিকযুক্ত ফুলের গাছগুলি একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ ক্ষতিগ্রস্ত ফুলচাষিদের ক্ষতিপূরণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন