শামি: তোমার কাছে সব স্পষ্ট করেছিলাম। তুমি ফের সেই কথা টানছ। হাসিন: শামি দয়া করে মিথ্যা বোলো না। কার দিব্যি দিলে তুমি সত্যি কথা বলবে? তুমি তো কাউকে পরোয়া করো না। আলিশবা নামে ওই পাকিস্তানি মেয়েটিকে নিশ্চয়ই পরোয়া করো। তাঁকে দিব্যি করে বলো, এ কাজ তোমার কি না?
শামি: না। হাসিন: না বললে! খুব ভাল। আচ্ছা দুবাইতে তো মহম্মদ ভাই ছিলেন না। তুমি ফোনে বলেছিলে, হোটেল থেকে বাইরে যেতে পারব না, কারণ দুবাইয়ের ভিসা নেই। এটা তুমি বলেছিলে?
শামি: হ্যাঁ। হাসিন: কিন্তু, তুমি ভিসা করিয়েছিলে। শামি: হ্যাঁ, ভিসা করিয়েছিলাম। হাসিন: তা হলে মিথ্যা কেন বলেছিলে? কেন বলেছিলে, হোটেল থেকে বাইরে যেতে পারবে না, ভিসা নেই...
শামি: ভিসা করিয়েছিলাম সেটা তো বলেছিলাম। হাসিন: এটা স্পষ্ট হয়ে গেল তুমি মিথ্যা বলেছ। দ্বিতীয়ত, আলিশবাকে তুমি মেসেজ করেছ, ঘর একই নামে বুক করা আছে, ওই একই হোটেলে। এটাও মহম্মদ ভাই করেছিলেন? তোমার মেসেজ, আলিশবার মেসেজ, ... তোমার টেক অফ সব কিছুই মহম্মদ ভাই করেছিলেন?
শামি: ওঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার দরকার ছিল আমার। হাসিন: কার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার দরকার ছিল? শামি: মহম্মদ ভাই টাকা পাঠিয়েছিলেন, সেটা নেওয়ার দরকার ছিল। হাসিন: কার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার দরকার ছিল?
শামি: আলিশবার কাছ থেকে। হাসিন: কাল রাতে তোমাকে যখন এ সব বলি, তখন বলেছিলে কে আলিশবা? তুমি বলেছিলে, আলিশবা কোথা থেকে এল? বলেছিলে, প্রথমে আলিশা-আলিশা করে নাটক করছ, এখন আলিশবা কোথা থেকে এল। তুমি আলিশবার সঙ্গে সেক্সও করেছ।
শামি: জবরদস্তি সেক্সের কথা বোলো না। হাসিন: জবরদস্তির কথাই যখন বললে, তখন বলি, প্রথমত, মহম্মদ ভাই আলিশবাকে চেনেন না। আলিশবার সঙ্গে মহম্মদ ভাইয়ের টাকা দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। মহম্মদ ভাই নিজে এখন ফেঁসে গিয়েছেন। আলিশবার সঙ্গে চ্যাটিংয়ে কোথাও মহম্মদ ভাইয়ের টাকার কথা বলোনি। চ্যাটিংয়ে বলেছ...তোমায় মিস করব। চুমু খাব।... আমরা সেক্স করব। এর সঙ্গে টাকা দেওয়ার কথা কোথায় এল?
শামি: আচ্ছা তুমি কী বলতে চাইছ? হাসিন: তোমাকে সত্যিটা তো বলতে হবে। একটা মিথ্যে ঢাকতে আর কত মিথ্যা কথা বলবে?