অন্ধকার রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারাল বাস, জখম ১৬

পুলিশ জানায়, বাসটি অণ্ডালের বিশ্বেশ্বরী থেকে আসানসোলের কালীপাহাড়ি যাচ্ছিল। বাসে ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চালাচ্ছিলেন চালক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৫০
Share:

কনেযাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি মিনিবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারল। এই ঘটনায় ১২ জন মহিলা-সহ মোট ষোলো জন যাত্রী জখম হয়েছেন। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ ২ নম্বর জাতীয় সড়কে রানিগঞ্জ পঞ্জাবি মোড়ের কাছে উড়ালপুলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জখম যাত্রীরা আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বাসটি অণ্ডালের বিশ্বেশ্বরী থেকে আসানসোলের কালীপাহাড়ি যাচ্ছিল। বাসে ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। আচমকা বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এলাকাবাসী ও পুলিশের সাহায্যে যাত্রীদের বাস থেকে বার করা হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে সন্তোষ সিংহ, টুটু মুখোপাধ্যায়েরা জানান, ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে বাসের চারটি চাকা খুলে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মমতা বাউরি, পরী বাউরিরা বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম, আর বাঁচব না। কী করে বেঁচে গেলাম জানি না।’’

স্থানীয় রাজবাড়ি মোড়ের বাসিন্দা প্রবীর মুখোপাধ্যায়, রামবাগান এলাকার পিন্টু তারবে, মালকিৎ সিংহেরা জানান, জাতীয় সড়ক হলেও পঞ্জাবি মোড়ে উড়ালপুলটি বিপজ্জনক এলাকা হয়ে উঠছে। এই সড়কের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশেই ‘রিফ্লেক্টার’ থাকলেও এই এলাকায় তা নেই। ডিভাইডার বসানোয় সমস্যা আরও বেড়েছে। কারণ, অধিকাংশ অংশে পথের নির্দেশিকা নেই। পথবাতিও অপর্যাপ্ত। ফলে অন্ধকার-আবছায়া থাকে এলাকায়। সেই সঙ্গে কুয়াশা থাকলে বিপদ আরও বাড়ে।

Advertisement

এলাকাবাসী জানান, এই এলাকায় দুর্ঘটনা আগেও ঘটেছে। চলতি বছরের নভেম্বরে ইসিএলের একটি ডাম্পার ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে গেলে চালক গুরুতর ভাবে জখম হন। ডাম্পারে থাকা কয়লা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ায় কয়েক ঘণ্টা ধরে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ২৫ অগস্ট একটি বাস ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে গিয়ে জখম হন পাঁচ জন যাত্রী। ২১ জুলাই একটি গাড়ি ডিভাইডার পার করে একটি ট্রাকের মুখোমুখি চলে আসে। ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় জখম হন গাড়ির চালক ও এক আরোহী। এ ছাড়া ২৮ জুন অন্য একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় রংবোঝাই একটি ট্রাকের চালকের। জখম হন খালাসি।

এলাকাবাসীর দাবি, বারবার এমন ঘটনা এড়াতে দ্রুত ওই এলাকায় ‘রিফ্লেক্টার’ পাততে হবে এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে অরিন্দম হান্ডিক বলেন, “জাতীয় সড়কের বিধি মেনেই আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাসিন্দারা যদি আমাদের কাছে আরও আলো বসানোর জন্য লিখিত প্রস্তাব দেন, তা হলে প্রয়োজনে ‘মাস্ক লাইট’ বসানো হবে। ‘রিফ্লেক্টার’ পাতা নিয়েও পরিকল্পনা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন