Ausgram

শিশুকে ভিতরে রেখেই ‘তালা’, ক্ষোভ অঙ্গনওয়াড়িতে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ওই কর্মী রেণুকা ধীবর প্রাক প্রাথমিক স্তরের ওই পড়ুয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৫৫
Share:

আউশগ্রামের দিগরডাঙায় অঙ্গনওয়াড়ির সামনে জমায়েত বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র

ছুটির পরেও বছর পাঁচেকের শিশুটি অঙ্গনওয়াড়ির ভিতরেই ছিল। অভিযোগ, সেই অবস্থায় ঘর বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে চলে যান কর্মী। মঙ্গলবার তিনি কেন্দ্রে আসতেই পাল্টা তাঁকে আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে। ঘণ্টা তিনেক আটকে থাকার পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে আউশগ্রাম-২ ব্লকের ভেদিয়া পঞ্চায়েত এলাকার দিগরডাঙা আদিবাসী পাড়ার ১৭৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ওই কর্মীকে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ওই কর্মী রেণুকা ধীবর প্রাক প্রাথমিক স্তরের ওই পড়ুয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু ছুটির পরে সে বাড়ি গিয়েছে কি না, তা না দেখেই কেন্দ্রের মূল গেটে তালা লাগিয়ে বাড়ি চলে যান তিনি। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, ওই কর্মী চলে যাওয়ার পরে ছেলে বাড়ি না আসায় পরিবারের লোকজন শিশুটির খোঁজ শুরু করেন। পরে তাকে বন্ধ কেন্দ্রের মধ্যে কান্নাকাটি করতে দেখে স্থানীয় এক জন বাড়িতে খবর দেন। ওই কেন্দ্রের অস্থায়ী সহায়িকাকে ডেকে এনে তালা খুলিয়ে শিশুটিকে বার করা হয়। অভিযোগ, ঘটনার পরে শিশুটিকে নিয়ে ওই কর্মীর বাড়িতে যান তার পরিবারের লোকজন। একপ্রস্ত বচসাও বাধে ওই কর্মীর সঙ্গে। স্থানীয় পঞ্চায়েতেও এ নিয়ে অভিযোগ জানান তাঁরা।

যদিও ওই কর্মীর দাবি, শিশুটি শৌচাগারে থাকায় তাঁর নজর এড়িয়ে গিয়েছিল। তাকে বার না করে কেন্দ্র তালাবন্ধ করে চলে যাওয়ার বিষয়টি তিনি ওই শিশুর বাবা-মায়ের কাছে স্বীকারও করে নেন বলে পরিবারের দাবি। এর পরে মঙ্গলবার সকালে রেণুকাদেবী কেন্দ্রে এলে কয়েকজন তাঁকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে জোর করে কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকিয়ে তালা লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। দফতরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের ফোন করে বিষয়টি জানান রেণুকাদেবী।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কেন্দ্রে তালা লাগানোর আগে ভিতরে কেউ আছে কি না তা দেখা উচিত ছিল ওই কর্মীর। কিন্তু তিনি কাজে অবহেলা করেছেন। কেন্দ্রের ভিতরে ওই শিশু ভয় পেলে বা কোনও ক্ষতি হলে তার দায় কে নিত এই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। ওই কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও ওঠে।

এ দিন ছোড়া ফাঁড়ির পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। ওই কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পরে, তালা খোলা হয়। আউশগ্রাম ২ ব্লকের সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক মহম্মদ ইমরান বলেন, “এক শিশুকে ঘরের ভিতর রেখে তালা লাগিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক কর্মীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, ওই কর্মীকেও দীর্ঘক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসীদের কোনও অভিযোগ থাকলে তা লিখিত ভাবে দেওয়ার জন্য বলেছি।’’ অভিযোগ পাওয়ার পরে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

পুলিশের দাবি, বিষয়টি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন