শিশুকে খুন স্বীকার ধৃতের, দাবি পুলিশের

ধর্ষণের পর সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুনের কথা জেরায় স্বীকার করেছে ধৃত— গলসিতে শিশু উদ্ধারের ঘটনায় এমনটাই দাবি করল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০০:৩৭
Share:

ধর্ষণের পর সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুনের কথা জেরায় স্বীকার করেছে ধৃত— গলসিতে শিশু উদ্ধারের ঘটনায় এমনটাই দাবি করল পুলিশ।

Advertisement

ধৃত আলান নাগবংশীকে রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক আজ, সোমবার ‘পকসো’ আইনের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতে ধৃতকে পেশ করার নির্দেশ দেন।

শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ গলসির কুমারপুরের সেচখালের কাছে খেতজমিতে রক্তাক্ত ও দগ্ধ অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ মেলে। শিশুটির বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে বর্ধমানের বেলকাশ পঞ্চায়েতের সুজাপুরে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শিশুটির সঙ্গে আলানও নিখোঁজ ছিল। পরে দামোদরের বাঁধের উপর থেকে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুর বাবা-মা আদতে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বড়শিয়ানের বাসিন্দা হলেও আপাতত ইটভাটায় কাজ করতে এসেছেন বর্ধমানে। পুলিশের কাছে তাঁদের অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করার পরে খুন করা হয়েছে। দেহ লোপাটের জন্য পুড়িয়ে মারারও চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আলানের বাড়িও রায়গঞ্জে। সেও ইটভাটায় কাজ করে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, ওই শিশুকন্যার বাবা ও সে ইটভাটায় একই কাজ করেন। কিন্তু প্রতি শুক্রবার মজুরি দেওয়ার সময় তিনি আলানের কাছ থেকে মজুরি কেড়ে নেন। সে নিয়ে ঝগড়াও লেগে থাকে। রাগও জমে ছিল সেই কারণেই।

কিন্তু বাবার সঙ্গে ঝগড়া বলে শিশুকে খুন? পুলিশের দাবি, ধৃত জানিয়েছে শনিবার সন্ধ্যায় চপ, বেগুনি দিয়ে কোলে করে নিয়ে একটা জায়গায় শিশুটিকে ছেড়ে দিয়ে আসে সে। কিছুটা চলে আসার পরে দেখে, শিশুটিও পিছনে পিছনে আসছে। বিস্কুট, খাবার দিয়েও কোনও ভাবেই পিছু ছাড়াতে না পেরে ভয়ে সে ওই কাজ করে ফেলেছে বলেও পুলিশের কাছে দাবি করে সে।

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, পুলিশ হেফাজতে এলে ধৃতকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করানো হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওই কর্তা বলেন, “ধৃত আদিবাসী। ফলে তাঁর সমস্ত কথা আমাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়দের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কী বলতে চাইছে তা বোঝা যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন