Molestation in Bardhaman Medical College

আলো নিবিয়ে রোগিণীর মেয়ের শ্লীলতাহানি, বাধা পেয়ে মার! বর্ধমান মেডিক্যালে ওয়ার্ডবয়ের কাণ্ড ধরা পড়ল সিসিটিভিতেও

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি বর্ধমান শহরের বাবুরবাগ কালীতলা এলাকায়। ২১ বছর ধরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ওয়ার্ডবয়ের কাজ করছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৪৭
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এক রোগিণীর বিবাহিত কন্যার সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগে শোরগোল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শ্লীলতাহানি এবং মারধরের অভিযোগে হাসপাতালের এক ওয়ার্ডবয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি বর্ধমান শহরের বাবুরবাগ কালীতলা এলাকায়। ২১ বছর ধরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ওয়ার্ডবয়ের কাজ করছেন তিনি। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ভোররাতে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ।

অভিযোগপত্র অনুযায়ী, এক আদিবাসী মহিলার মা কয়েক দিন ধরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের ‘নিউ বিল্ডিং’-এর ফিমেল চেস্ট ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা চলছে। গত শনিবার থেকে মায়ের কাছে থাকছিলেন মেয়ে। তাঁর অভিযোগ, তিনি মাকে নিয়ে হাসপাতালের ওই বিভাগে যাওয়ার পর থেকেই নানা ভাবে অশ্লীল ইঙ্গিত করছিলেন এক ওয়ার্ডবয়। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মায়ের সঙ্গে ছিলেন তিনি। সেই সময় সেখানে যান অভিযুক্ত। ঘরে ঢুকেই তিনি আলো নিবিয়ে দেন বলে অভিযোগ। তার পর পিছন থেকে অভিযোগকারিণীকে জড়িয়ে ধরেন এবং শ্লীলতাহানি করেন। প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় চিৎকার করতে থাকেন ওই মহিলা। তখন তাঁকে কিল-চড়-ঘুষি মারেন অভিযুক্ত।

Advertisement

নিজেকে কোনও রকমে ছাড়িয়ে সাহায্যের জন্য আরও জোরে চিৎকার করেন মহিলা। এর পর হাসপাতালের কিছু লোকজন সেখানে পৌঁছোন। তাঁরা আলো জ্বালাতেই অভিযুক্ত দৌড়ে পালান।

ঘটনাক্রমে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ‘নির্যাতিতা।’ তার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ১২৬(২), ১১৫(২), ৭৪, ৭৫(২), ৭৬ এবং ৭৯ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মামলা রুজুর পর তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে গোটা ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর করেন। ওই ওয়ার্ডের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়। অভিযোগের সারবত্তা পাওয়ার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার ধৃতকে হাজির করানো হয় বর্ধমান সিজেএম আদালতে। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। শেষমেশ অভিযুক্তের দু’দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজিএম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement