বিজেপি কর্মীকে বেঁধে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুর্গাপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমলপুরে নাচন রোডের ধারে একটি ঘরের থামে দড়ি দিয়ে বেঁধে স্থানীয় যুবক আনন্দ চন্দ্রকে মারধর করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ০০:১৫
Share:

এক বিজেপি কর্মীকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার কমলপুরের ঘটনা। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুর্গাপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমলপুরে নাচন রোডের ধারে একটি ঘরের থামে দড়ি দিয়ে বেঁধে স্থানীয় যুবক আনন্দ চন্দ্রকে মারধর করা হয়। এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযোগ, এ দিন সকালে প্রথমে আনন্দকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিখিল নায়েকের এক আত্মীয়-সহ চার জন মারধর করেন। তার পরে থামে বেঁধে ফের মারা হয়। তাঁর মা গিয়ে উদ্ধার করেন। আহতকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আনন্দের দাবি, পাথর খাদানের নানা অনিয়ম নিয়ে নিখিলবাবুর বিরুদ্ধে সবর হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে।

বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা ভোটে কমলপুরের দু’টি বুথে তারা ‘লিড’ পাওয়ার পর থেকেই গ্রামে দলের সমর্থকদের উপরে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। বিভিন্ন কারখানার কাজ থেকে বিজেপি সমর্থকদের বার করে দেওয়া হচ্ছে। পাথর খাদানের কর্মীদের পিএফ, ইএসআইয়ের সুবিধা দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন আনন্দ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সে জন্য কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়িতে হামলা হয়। আজ সকালে কাজে যাওয়ার সময়ে ওই তৃণমূল নেতার ভাইপো-সহ চার জন আমাকে মারধর করে।’’ দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আনন্দ আমাদের সক্রিয় কর্মী। এই ঘটনায় তৃণমূলের যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। তার আগেই অবশ্য অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে নিখিলবাবুর দাবি, ‘‘অনেকের কাছে টাকাপয়সা নিয়েছে আনন্দ। টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতারিতেরা হয়তো ওকে আটকেছিল। তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।’’ তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আইন কখনও নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। যদি এমন ঘটে থাকে পুলিশ তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন