প্রতীকী ছবি
কৃষ্ণনগরের ‘সারি’ হাসপাতালে এসে মারা গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর এক প্রৌঢ়া। লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। তবে গভীর রাত পর্যন্ত রিপোর্ট না আসায় দেহ হাসপাতালের মর্গেই রয়েছে। রিপোর্ট পেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওযা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
পরিবার ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বুধবার রাতে নদিয়ার জেলা সদরে গ্লোকাল ‘সারি’ হাসপাতালে মৃত বছর পঞ্চাশের মহিলার বাড়ি নবদ্বীপ ঘেঁষা পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বিশ্বরম্ভা এলাকায়। লকডাউন চলাকালীন তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ এলাকার বাইরে যাননি, বাইরে থেকেও কেউ তাঁদের বাড়িতে আসেননি। দীর্ঘদিন বাতের ব্যথায় ভোগায় ইঞ্জেকশন নিতে হত তাঁকে। মাস সাতেক আগে পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। নিয়মিত যন্ত্রণার ইঞ্জেকশন নেওয়ার কারণে কিডনির সমস্যা হয়েছিল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় রাতে তাঁকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার দুপুরে সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। শ্বাসকষ্ট থাকায় সেখান থেকে ‘সারি’ (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এমনিতে সারি হাসপাতালে মৃতের দেহ নবদ্বীপ শ্মশানে দাহ করার কথা। কিন্তু সেই ব্যবস্থা নিয়েও গভীর রাত পর্যন্ত টানাপড়েন চলেছে। এর আগেও ওই শ্মশানে সারি থেকে আসা মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে বাধা এসেছে। মৃতার ছেলের দাবি, নবদ্বীপ শ্মশানের বদলে বাহাদুরপুর বা অন্য কোথাও সৎকার করতে হতে পারে বলে তাঁকে জানানো হয়েছে। মৃতার ছেলে বলেন, “আমরা চাই নবদ্বীপ শ্মশানেই সৎকার করতে।”
পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় এ দিন দুপুরে বলেন, ‘‘বিষয়টি অন্য জেলায় ঘটেছে। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও তথ্য এখনও পৌঁছয়নি।’’ কালনার মহকুমাশাসক সুমনসৌরভ মোহান্তি শুধু বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে।“