ফুটপাথের সমস্যা মিটবে কবে, প্রশ্ন শিল্পাঞ্চল জুড়ে

ফুটপাথ জবরদখল উচ্ছেদ করতে আসানসোল শহরে তৎপর হয়েছে পুরসভা। দেওয়া হয়েছে নোটিস। তৃণমূল সমর্থিত হকার ইউনিয়নের পুনর্বাসনের দাবি, পুরসভা চত্বরে হকারদের বিক্ষোভের পরেও সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:০৭
Share:

ফুটপাথ জবরদখল উচ্ছেদ করতে আসানসোল শহরে তৎপর হয়েছে পুরসভা। দেওয়া হয়েছে নোটিস। তৃণমূল সমর্থিত হকার ইউনিয়নের পুনর্বাসনের দাবি, পুরসভা চত্বরে হকারদের বিক্ষোভের পরেও সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আসানসোল শহর ছাড়াও শিল্পাঞ্চলের নানা জায়গায় ফুটপাথ দখলের সমস্যা রয়েছে। তার জেরে নাকাল হন বাসিন্দারা। কুলটি, নিয়ামতপুর, রানিগঞ্জ-সহ বিভিন্ন জায়গার মানুষের প্রশ্ন, তাঁদের এলাকায় ফুটপথ দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের তরফে কবে উদ্যোগ হবে।

Advertisement

ফুটপাথ দখল করে দোকানপাট গড়ে তোলার জেরে আসানসোল শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দিনভর যানজট লেগে থাকে। নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি দুর্ঘটনাও ঘটে। তাই যানজটের সমস্যা মেটাতে ও শহরকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে ফুটপাথগুলি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে আসানসোল পুরসভা। কিন্তু শহর ছাড়াও এই সমস্যা রয়েছে শিল্পাঞ্চলের অন্য এলাকাগুলিতেও। নিয়ামতপুরে ফুটপাথ দখল করে প্রতিদিন চলে ফল, সব্জির কেনাবেচা। নিউরোড এলাকার নতুন বাসস্ট্যান্ডে বাস দাঁড়ালেও অটো, রিকশা, ছোট গাড়ি, সাইকেল, মোটরসাইকেল রাস্তার পাশেই অবৈধ ভাবে পার্কিং করা থাকে। বেশ কিছু বাসও রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে। তার জেরে এই রাস্তা দিয়ে কোনও রোগী নিয়ে আসানসোল, ধানবাদে যাওয়ার সময় বিপাকে পড়তে হয় রোগীর পরিবারকে। একই অভিযোগ কুলটির সীতারামপুর স্টেশন রোড এলাকার বাসিন্দাদের। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার পাশাপাশি দখলদারির জেরে এই রাস্তায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

ফুটপাথ দখল নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে রানিগঞ্জ, জামুড়িয়াতেও। রাস্তার দু’পাশে শাক-সব্জি, মাছ-মাংসের দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উপরেই ট্রেকার, টোটো দাঁড়িয়ে থাকে। রানিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দারা জানান, স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে বাসগুলি যাত্রী তোলে। তার জেরে যানজট নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। অনেক সময় ট্রেন পেতে সমস্যা হয়। থানা রোডের দু’দিকে পাইকারি বাজার রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তায় দিনভর গাড়ি পার্কিং করে দোকানের পণ্যসামগ্রী ওঠানো-নামানো হয়। ফলে যানজট যেম হয়, তেমনই এলাকায় কোনও আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি ঢুকতে অনেক সময় লেগে যায়। সিআর রোড ও বড় বাজারের ফুটপাতে বিভিন্ন স্থায়ী দোকানের মালিকেরা নিজেদের দোকানের সামনে টাকার বিনিময়ে হকারদের বসতে দেয় বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ছাড়াও প্রতি বৃহস্পতিবার সিআর রোডের ফুটপাত দখল করে পসরা সাজিয়ে বসেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

এই সব এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের তরফে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবে রূপ পায়নি। তার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা যেমন বছরের পর বছর নাকাল হচ্ছেন, তেমনই সমস্যা পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা। যদিও আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির জানান, কিছু দিনের মধ্যেই ফুটপাথের জবরদখল উচ্ছেদ নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হবে। সেখানেই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন