অস্ত্রোপচারের পরেও পায়ের ভিতর থেকে গিয়েছিল সূচ ও এক টুকরো সুতো। অভিযোগ, ওই অবস্থাতেই আহত তরুণীর পায়ের ক্ষত ব্যান্ডেজ করে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করে দিয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। তবে পরিবারের লোকজন ওই তরুণীকে কলকাতা পর্যন্ত না নিয়ে গিয়ে বর্ধমানের বামচাঁদাই বটতলার কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই পায়ের ক্ষতস্থানের অস্ত্রোপচার করে সূচ ও এক টুকরো সুতো মেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই তরুণীর বাবা, আশিস কর্মকার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। হাসপাতাল সুপার উৎপল দাঁ বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আরও কিছু নথিপত্র চেয়েছি। ওই নথিপত্র হাতে এলেই তদন্ত শুরু করা হবে।’’ জরুরি বিভাগকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলেও তাঁর দাবি।
পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে সাইকেল নিয়ে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিলেন বর্ধমান মহিলা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের পড়ুয়া সুদেষ্ণা কর্মকার। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে জিটি রোডের উপর বাদামতলা মোড়ের কাছে একটি পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। ডান পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পায় সুদেষ্ণা। তাঁর সঙ্গে আরও দু’জন পথচারীও জখম হন। আহত ছাত্রীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করেন। তবে কয়েক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরেও ব্যাথা না কমায় ওই ছাত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীরা মা মিঠুদেবীর দাবি, ‘‘হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরে যন্ত্রনা আরও বেড়ে যায় মেয়ের। কলকাতা পর্যন্ত যাওয়া মেয়ের পক্ষে খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল। সে জন্য বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক্স-রে করার পর যা দেখলাম, তাতে তো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিল।’’
ওই বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরে আপাতত অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন সুদেষ্ণা। তাঁর কথায়, ‘‘আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ গাফিলতি বলেই মনে হয়। চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হয়ে কাজ করা উচিত।’’