Ktawa Mahakuma Hospital

ডোনার বিনা রক্ত ‘অমিল’

বর্তমানে ‘এ নেগেটিভ’, ‘বি পজ়িটিভ’, ‘বি নেগেটিভ’, ‘ও পজ়িটিভ’ এবং ‘ও নেগেটিভ’ গ্রুপের কোনও রক্তই ব্লাড ব্যাঙ্কে নেই বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৩
Share:

মজুত রক্তের হিসেব। শুক্রবার কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র।

রক্তের কার্যত আকাল দেখা দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। রোগী পরিবারের অভিযোগ, বাইরে থেকে রক্ত জোগাড় করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। একমাত্র রক্তদাতা আনলে, তবেই মিলছে রক্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত মাত্র ১৩ পাউচ রক্ত মজুত রয়েছে। তার মধ্যেও সব গ্রুপের রক্ত নেই। করোনা-পরিস্থিতিতে রক্তদান শিবির কমে যাওয়ায় এই সমস্যা, দাবি তাঁদের। হাসপাতালের তরফ থেকে নানা মহলে শিবির করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Advertisement

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও, নদিয়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ এই হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল। সকাল হতে না হতেই প্রচুর মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন। রক্তেরও প্রয়োজন পড়ে অনেকের। কিন্তু বর্তমানে ‘এ নেগেটিভ’, ‘বি পজ়িটিভ’, ‘বি নেগেটিভ’, ‘ও পজ়িটিভ’ এবং ‘ও নেগেটিভ’ গ্রুপের কোনও রক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে নেই বলেও জানা গিয়েছে।

এ দিন কাটোয়া কাছারি রোডের বাসিন্দা তন্ময় পাল নামে এক রোগীর আত্মীয় ‘বি পজ়িটিভ’ গ্রুপের রক্ত নিতে এসেছিলেন হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘‘সব সময় রক্ত পাওয়া যায়। তাই চিন্তা ছিল না। কিন্তু হাসপাতালে এসে ভুল ভাঙল। বাইরে থেকে ডোনার এনে তবে বিপদ থেকে বেঁচেছি।’’ কেতুগ্রামের সিরাজ মল্লিক, মঙ্গলকোটের মহাদেব দত্তরাও জানান, গত তিন দিন ধরে তাঁদের আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসক রক্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে জানা যায় রক্ত নেই। বহু চেষ্টা করেও রক্ত জোগাড় করতে পারেননি তাঁরা। তাঁরা বলেন, ‘‘গ্রামে খবর দিয়েছি। ডোনার পেলে, তবে সমস্যা মিটবে।’’

Advertisement

কাটোয়া হাসপাতালের হেমরাজ ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিক বাণীব্রত আচার্য বলেন, ‘‘রক্ত-সঙ্কট মেটাতে শিবির করার জন্য নানা সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলিকে আহ্বান জানানো হয়েছে।’’ কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শীঘ্র রক্তদান শিবির করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন