ভাঙছে মসজিদ, আক্ষেপ ইদে

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতান হোসেন শাহের পৌত্র ফিরোজ শাহের আমলে ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে গড়ে ওঠে মসজিদটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০০:০১
Share:

ধসছে জমি। নিজস্ব চিত্র

দশটি গম্বুজের ন’টিই ভেঙে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে দেওয়ালের কারুকাজ। এমনকি, দাঁতনকাঠিতলার ‘মসজিদ-ই-মজলিসে’র পিছনের জমি যে কোনও সময় ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা কালনার শাসপুর এলাকার বাসিন্দাদের। ইদের দিনে তাঁদের আক্ষেপ, অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাঁচশো বছরের পুরনো মসজিদের ঐতিহ্য।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতান হোসেন শাহের পৌত্র ফিরোজ শাহের আমলে ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে গড়ে ওঠে মসজিদটি। ৭৩ শতক জমির উপরে তৈরি মসজিদে ইদের নমাজ পড়তে একসময় পাল্কি, হাতির পিঠে চড়েও আসতেন বহু সম্ভ্রান্ত পরিবার। বর্তমানে সে আড়ম্বর না থাকলেও কয়েক হাজার মানুষ আসেন নমাজ পড়তে। শহরে আসা পর্যটকেরাও ঘুরে যান মসজিদটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মসজিদের পিছনের অংশে রয়েছে একটি বড় পুকুর। ওই পুকুরের জলের ধাক্কায় ভেঙে যাচ্ছে মসজিদের পিছনের অংশে। ভাঙতে ভাঙতে মসজিদের বিভিন্ন অংশ থেকে পুকুরের দূরত্ব দাঁড়িয়েছে পাঁচ থেকে সাত ফুট। স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা, যে কোনও সময় পাড়ে ধস নামতে পারে। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে হয়তো মুছেই যাবে ঐতিহ্য, তাঁদের আক্ষেপ।

মসজিদটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে কালনা আঞ্জুমান সোসাইটি নামে একটি সংস্থা। তার কর্তারা জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু দফতরের তরফে মসজিদটির আশপাশে সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু বেশির ভাগ অংশে আগে থেকেই পাঁচিল থাকায় ওই টাকা কাজে লাগানো যায়নি। কালনা আঞ্জুমান সোসাইটির সভাপতি শাহনওয়াজউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘‘মসজিদটিকে বাঁচানোর জন্য পুকুরে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে শক্ত গার্ডওয়াল দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এ কাজ প্রশাসন দ্রুত করলে বাঁচবে কালনার অমূল্য এক ইতিহাস।’’

Advertisement

কালনা ২-এ বিডিও মিলন দেবগড়িয়া বলেন, ‘‘মসজিদের জন্য বরাদ্দ টাকা ফেরত যায়নি। মসজিদের দেখভালকারী সংস্থার কর্তারা পিছনের অংশের সমস্যার কথা জানিয়ে ফের একটি আবেদন করতে পারেন জেলা সংখ্যালঘু দফতরে। সে ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনার জন্য অর্থ বরাদ্দ হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন