corona virus

পথে পুলিশ কড়াকড়ি আরও বাড়াল

পাশাপাশি, বৃহস্পতিবারের মতো শনিবারেও বিশেষ নজর রাখা হয়েছিল জেলার সীমানাগুলিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০২:৪৩
Share:

দুর্গাপুর ব্যারাজের সামনে পুলিশের নজরদারি। নিজস্ব চিত্র

সপ্তাহের দ্বিতীয় ‘লকডাউন’-এর দিন পুলিশ-প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বলে অভিজ্ঞতা জেলার নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবারের মতো শনিবারেও বিশেষ নজর রাখা হয়েছিল জেলার সীমানাগুলিতে।
নিয়ম মানাতে: এ দিন সকাল ৬টা থেকেই আসানসোল ও দুর্গাপুরের নানা রাস্তায় পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের দেখা যায়। সকাল ১০টা নাগাদ রূপনারায়ণপুর দেশবন্ধু পার্ক লাগোয়া রাস্তা ধরে মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূলের সালানপুর ব্লকের সম্পাদক ভোলা সিংহ। এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা তাঁকে আটক করে জরিমানা আদায় করেন। ভোলাবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘এক আত্মীয়ের শরীর খারাপ। তাঁকে দেখতে যাচ্ছিলাম। তবে নিয়ম ভাঙার জন্য জরিমানা দিয়েছি।’’ ভিন্-রাজ্য থেকে আসা ফল, মাছ, আনাজবোঝাই ট্রাক এ দিন আসানসোলের পাইকারি বাজারে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।
নজরে পাম্প: আসানসোল মূল বাজার এবং মূল রাস্তায় পুলিশের গাড়ি গাড়ি ঘনঘন টহল দেয়। পাশাপাশি, এমন দিনগুলিতে ‘অকারণে’ গাড়ি, মোটরবাইক নিয়ে ঘুরে-বেড়ানোর প্রবণতা দেখা যায় নাগরিকদের একাংশের মধ্যে, জানান পুলিশকর্মীরা। এই প্রবণতা রুখতে শহরের পেট্রল পাম্পগুলিতে তেল বিক্রিতে লাগাম টানা হয়। আধিকারিকেরা জানান, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যানবাহন, রোগীর গাড়ি ও হাসপাতালের গাড়িতেই শুধু তেল ভরার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সীমানায় কড়া: এ দিনও কুলটি থানার বরাকর ও ডুবুরডিহি সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুরে ঝাড়খণ্ড সীমানা এবং ডিসেরগড়ের পুরুলিয়া জেলার সীমানা ‘সিল’ করা হয়। সকাল থেকেই দুর্গাপুর ব্যারাজে ‘নাকা চেকিং’ শুরু করে কোকআভেন ও বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার পুলিশ। জরুরি প্রয়োজনে, উপযুক্ত নথি দেখিয়ে তবেই ছাড় মিলেছে।
ধরপাকড়: বৃহস্পতিবারের তুলনায় এ দিন পুলিশের ‘সক্রিয়তা’ যে আরও বেশি ছিল, তা বোঝা গিয়েছে গ্রেফতারির সংখ্যা থেকেই। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা যায়, বিধিভঙ্গের জন্য বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে গ্রেফতারির সংখ্যা ছিল ৯৫ জন। এ দিন বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত দুর্গাপুর মহকুমার আটটি থানা এলাকা থেকে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭৮ জন। ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘সচেতন করা, সতর্ক করার পরেও অনেকে নিয়ম মানছেন না। পুলিশ তাই আইনি পদক্ষেপ করেছে।’’ ডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস বলেন, ‘‘বিকেল ৪টে পর্যন্ত আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমায় মোট ২৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
কিন্তু পুলিশের সক্রিয়তা থাকলেও, জেলার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, নাগরিক সচেতনতা তৈরি না হলে ‘জোর করে’ লকডাউন সফল করা সম্ভব নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement