COVID-19 Vaccine

দ্বিতীয় দিনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম প্রতিষেধক

সোমবার, দ্বিতীয় দিনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রতি কেন্দ্রে প্রায় ১২০ জন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ ০২:২০
Share:

ফাঁকা চেয়ার, ভাতারে। নিজস্ব চিত্র।

প্রথম দিন পূরণ হয়ে গিয়েছিল লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে থামতে হল লক্ষ্যমাত্রার অনেকটা দূরেই। সোমবার, করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার দ্বিতীয় দিনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫৩.৫ শতাংশ জন তা নিয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ভাতার, কাটোয়া ও কালনার কেন্দ্রে অনেক ভ্যাকসিন প্রাপকই এ দিন আসেননি বলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

জেলার সাতটি কেন্দ্রে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ চলছে। শনিবার, প্রথম দিন সব ক’টি কেন্দ্রেই একশো জনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গিয়েছিল। প্রতিষেধক প্রাপকদের আগে থেকে বারবার ফোন করে, নির্দিষ্ট সময়ের কিছু ক্ষণ পর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে তা সম্ভব হয়েছিল বলে জেলার স্বাস্থ্য-কর্তারা দাবি করেছিলেন। সোমবার, দ্বিতীয় দিনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রতি কেন্দ্রে প্রায় ১২০ জন। কয়েকটি কেন্দ্রে সেই লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছনো গেলেও কয়েকটিতে তার চেয়ে অনেক কম জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল ও কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সেখানে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক জন প্রতিষেধক নিতে এসেছিলেন। বর্ধমান শহরে পুরসভার ঝুরঝুরেপুল স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কেন্দ্রে প্রতিষেধক নেওয়ার হার তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

কাটোয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অনেক স্বাস্থ্যকর্মী বিভিন্ন অসুবিধার কারণ জানিয়ে এ দিন প্রতিষেধক নিতে আসেননি। কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে আবার জানা যায়, এ দিন প্রতিষেধক নেওয়ার কথা ছিল, এমন কয়েকজনকে বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি। হাসপাতালের সুপার অরূপরতন করণ বলেন, ‘‘অনেকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁরা যে ফোন নম্বর দিয়েছেন, তাতে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না দেখতে হবে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের দাবি, প্রথম দিন যাঁরা প্রতিষেধক নিয়েছেন, তাঁদের তিন দিন ধরে ফোন করা হয়েছিল। ‘রিজ়ার্ভ টিম’ ছিল। কিন্তু এখন ‘কো-উইন’ অ্যাপ চালু হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে এসএমএস যাচ্ছে। ফলে, অনেকেই ফোনের অপেক্ষায় থেকেছেন বা মেসেজ বুঝতে পারেননি বলে মনে করা হচ্ছে। আবার সার্ভারের সমস্যায় অনেক জায়গায় এসএমএস পৌঁছয়নি বলেও দাবি কর্মীদের একাংশের। সে কারণেই এ দিন প্রতিষেধক প্রাপকের সংখ্যা কমেছে দাবি করে জেলার স্বাস্থ্য-কর্তারা জানান, পুরো বিষয়টিতে সড়গড় হতে কিছুটা সময় লাগবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন