Bangladeshi Model

বাড়িতেই আধার কার্ড ‘কারখানা’! প্রতিবেশীরা জানতেনই না ‘নিপাট ভাল ছেলে’ বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ‘ত্রাতা’

স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে যে বাড়িতে ধৃত থাকতেন ওই বাড়ি এখন তালাবন্ধ। সেই বাড়িই ছিল ভুয়ো আধার-ভোটার কার্ড-সহ একাধিক জাল নথি তৈরির ‘কারখানা’।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ০২:২৮
Share:

মমতাজউদ্দিনের পৈতৃক বাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

বাংলাদেশি মডেল শান্তা পাল-কাণ্ডে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কাশিয়াড়া থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন শেখ মমতাজউদ্দিন। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে যে বাড়িতে তিনি থাকতেন ওই বাড়ি এখন তালাবন্ধ। সেই বাড়িই ছিল ভুয়ো আধার-ভোটার কার্ড-সহ একাধিক জাল নথি তৈরির ‘কারখানা’। অথচ সে সব কিছুই টের পাননি প্রতিবেশীরা। সকলেই মমতাজকে ‘নিপাট ভাল ছেলে’ হিসাবেই জানতেন।

Advertisement

যে বাড়িতে এই ‘চক্র’ চলত ওই বাড়ি থেকে একটু দূরেই তাঁর বাবা শেখ আব্দুল রহমানের বাড়ি। একই পাড়াতেই। ওই বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করার পরে বেরিয়ে এসেছিলেন মমতাজউদ্দিনের মা। কিন্তু ক্যামেরা দেখা মাত্রই কোনও উত্তর না দিয়ে ঘরে ঢুকে যান তিনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দা হায়দার শেখ, শেখ শুকুর, শেখ বসিরউদ্দিনরা জানাচ্ছেন, মমতাজউদ্দিনকে দেখে কখনও তাঁদের কোনও রকম সন্দেহ হয়নি। প্রতিবেশীরা সকলেই জানতেন, তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির কাজ করেন। এলাকাতেও কোনও খারাপ রেকর্ড ছিল না তাঁর।

সেই ‘ভালো ছেলে’র বাড়ি থেকেই কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখা উদ্ধার করেছে প্রচুর পরিমাণে জাল নথি ও বিভিন্ন ভুয়ো স্ট্যাম্প। এমনকি গেজেটেড অফিসারের নামে বানানো ট্যাম্প থেকে আইনজীবীর নামে ছাপানো জাল প্যাড ও স্ট্যাম্প-ও উদ্ধার করা হয়েছে। এই সব করেই বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী শান্তা’র যেন ‘ত্রাতা’ হয়ে উঠেছিলেন ধৃত। পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধের কিনারা পেতে ও এই চক্রে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে তদন্ত চালানো হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement