Shymaprasanna Lohar

‘ভোলেবাবা পার করেগা’, দলের মঙ্গল চেয়ে পদব্রজে ২৫ কিমি যাত্রা তৃণমূলের শ্যামার, প্রার্থনা বড় জয়ের

শ্যামাপ্রসন্নের মা আশালতাদেবী বাম আমলে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। আইন নিয়ে পড়ার সময় ২০০৭ সালে কলকাতার যোগেশচন্দ্র ল কলেজে টিএমসিপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শ্যামা। পরের পাঁচ বছর নির্বাচিত সদস্য হন। টিএমসিপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। তা ছাড়া তফসিলি, জনজাতি, অনগ্রসর শ্রেণিদের জন্য দলের সংগঠনে তিনি পদ সামলাচ্ছেন। ২০১৮ সাল থেকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ১৫:১৩
Share:

শিবের মাথায় জল ঢালতে চলেছেন তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসন্ন লোহার। —নিজস্ব চিত্র।

শ্রাবণ মাস জুড়ে বহু শিবভক্ত তাঁদের প্রভুর উপাসনা করছেন। ভোলেবাবা তাঁর ভক্তদের মনের বাসনা পূরণ করবেন, এই তাঁদের আশা। শেষ সোমবার ভোলেবাবার উপাসনায় ব্রতী হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূল সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহারও। শ্যামার অনুগামীরা জানিয়েছেন, রাজ্যের মঙ্গল চেয়ে এবং আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়ের কামনায় ২৫ কিলোমিটার পদযাত্রা করছেন জেলা সভাধিপতি। শ্যামার নিজের কথায়, ‘‘এ শুধু ধর্মীয় রীতি নয়, মানুষের মঙ্গল এবং শান্তির জন্য প্রার্থনা। ২০২৬ সালে তৃণমূল যাতে আবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়, সেই কামনা করছি।’’

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের পালিশগ্রামের বাসিন্দা শ্যামাপ্রসন্ন দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবারে গ্রাম্য দেবতা ‘পালিশ ক্ষেত্র’-এর মাথায় জল ঢালার রীতি মেনে আসছেন। সেই প্রথা বজায় রেখে গত রবিবার সকালে তিনি ৪০০ গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পালিশগ্রাম থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। কাটোয়ার গঙ্গার ঘাটে পৌঁছে গঙ্গাজল ভরে সন্ধ্যায় পুনরায় হেঁটে গ্রামের দিকে রওনা দেন। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, জেলা পরিষদের সর্বোচ্চ পদে থেকেও শ্যামাপ্রসন্ন প্রতি বছর এই যাত্রায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাঁটেন। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘এটা ওঁর সরলতা এবং মানুষের সঙ্গে আত্মিক যোগের প্রমাণ। ধর্ম মানে তো মানুষ।’’

শ্যামাপ্রসন্নের মা আশালতাদেবী বাম আমলে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। আইন নিয়ে পড়ার সময় ২০০৭ সালে কলকাতার যোগেশচন্দ্র ল কলেজে টিএমসিপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শ্যামা। পরের পাঁচ বছর নির্বাচিত সদস্য হন। টিএমসিপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। তা ছাড়া তফসিলি, জনজাতি, অনগ্রসর শ্রেণিদের জন্য দলের সংগঠনে তিনি পদ সামলাচ্ছেন। ২০১৮ সাল থেকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement