খোঁজ মিলল আরও দুই অভিযুক্তের

বারুইপুরের গোলপুকুরের বাসিন্দা ওই কিশোরী গায়ে আগুন দেয় ২৯ জুন। সপ্তাহখানেক পরে গত শুক্রবার এম আর বাঙুর হাসপাতালে মারা যায় সে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০২:০৯
Share:

মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে বারুইপুরের এক কিশোরী জানিয়ে গিয়েছিল, প্রতিবেশী যুবক তাকে বারবার ধর্ষণ করেছে এবং শাসিয়েছে, এই মানসিক চাপেই নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিল মেয়েটি। অন্তিম বয়ানের ভিত্তিতে শেখ ইমরান ও লালচাঁদ সিপাই নামে দুই যুবককে শুক্রবার গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এ বার ওই ঘটনায় কিশোরীর বাড়িওয়ালা ও এক বৃহন্নলার খোঁজ করছে পুলিশ।

Advertisement

বারুইপুরের গোলপুকুরের বাসিন্দা ওই কিশোরী গায়ে আগুন দেয় ২৯ জুন। সপ্তাহখানেক পরে গত শুক্রবার এম আর বাঙুর হাসপাতালে মারা যায় সে। তদন্তে জানা গিয়েছে, মেয়েটিকে নানা ভাবে টোপ দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২৯ জুনের ঘটনার পরে ধর্ষণের পরে অভিযোগ দায়ের হলে তা তুলে নেওয়ার জন্য মেয়েটির মায়ের উপরে চাপ সৃষ্টি করেছিল বাড়িওয়ালা মইউদ্দিন শেখ ও তমান্না নামে এক বৃহন্নলা।

বারুইপুর জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, দীর্ঘ দিন ধরেই মূল অভিযুক্ত ইমরানের মাথায় হাত ছিল মইউদ্দিন ও তমান্নার। পুলিশকর্তারা জানান, ধর্ষণের বিষয়টি যাতে সামনে না আসে সে জন্য তমান্না বহু বার ওই কিশোরীকে আশ্বাস দিয়েছিল যে ইমরানের সঙ্গেই তার বিয়ে হবে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ইমরান অধিকাংশ সময় তমান্নার কাছেই থাকত।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ইমরান, মইউদ্দিন, লালচাঁদ ও তমান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের টাকার বিনিময়ে গোলপুকুরের বস্তিতে নিয়ে এসে রাখত। পরে অন্যত্র বসবাসের ব্যবস্থা করে দিত। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির মৃত্যুর পরে মইউদ্দিন ও তমান্না গা-ঢাকা দিয়েছে। ধৃতদের খোঁজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন