Hilsa Fish

রাজ্যে ইলিশের সংখ্যা কম, রান্নাপুজোর আগে চিন্তায় বাঙালি, চাহিদা মেটাচ্ছে গুজরাত

এ রাজ্যের কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, দিঘা, শংকরপুর থেকে আসা ইলিশ এত দিন প্রবেশ করত বাঙলির হেঁশেলে। তবে এই বছর তার যোগান অত্যন্ত কম। ফলে মোদীর রাজ্য গুজরাতের ভারুচ থেকে আসা ইলিশ দিয়েই রসনাতৃপ্ত হচ্ছে বাঙালির।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৪৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাজ্যে ভরা বর্ষাতেও তেমন ভাবে ইলিশ নেই। সীমান্তে অশান্তির জেরে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ ভারতে এসে পৌঁছোয়নি। ফলে এ বছর ইলিশপ্রিয় বাঙালির ভরসা গুজরাত থেকে আমদানি হওয়া ইলিশ মাছের, যা ছেয়ে গিয়েছে বাজারে। এই বছর রেকর্ড পরিমাণ রুপোলি শস্য আমদানি করেছেন হাওড়ার পাইকারি বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এ রাজ্যের কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, দিঘা, শংকরপুর থেকে আসা ইলিশ এত দিন প্রবেশ করত বাঙলির হেঁশেলে। তবে এই বছর তার যোগান অত্যন্ত কম। ফলে মোদীর রাজ্য গুজরাতের ভারুচ থেকে আসা ইলিশ দিয়েই রসনাতৃপ্ত হচ্ছে বাঙালির। স্বাদও বেশ আর দামও তুলনামূলক কম। জানা গিয়েছে, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। ৯০০ থেকে ১১০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে। সেই ইলিশ যখন খুচরো বাজারে প্রবেশ করছে তখন তার দাম মেরেকেটে ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা হচ্ছে। তারপর কলকাতার শিয়ালদহ, মানিকতলা, লেক মার্কেট, দমদম, গড়িয়াহাট, সল্টলেক, বেহালার বাজারে এই মাছ পৌঁছে যাচ্ছে।

ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানান, এই বছর প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ গুজরাত থেকে আমদানি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই ইলিশ সুস্বাদু হওয়ার কারণে সাধারণ ক্রেতার কাছে এর চাহিদা বেশ ভাল। তিনি আরও জানান, আর বেশ কয়েক দিনের মধ্যেই গুজরাতে মাছের উৎপাদন কমে যাবে, আর এর মধ্যেই সামনে রান্নাপুজো রয়েছে বাঙালির, তাই এই বছর বাঙালিরা এই পর্বে ইলিশ মাছ কতটা উপোভোগ করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement