নিহত ব্যবসায়ীর দেহ। (ইনসেটে) মিঠুন সাহা।-নিজস্ব চিত্র।
সাত সকালে রাস্তার উপর এক ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল বারাসতের অশ্বিনীপল্লীতে। মঙ্গলবার ভোরবেলা পথচলতি মানুষ এক যুবকের নিথর দেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই যুবকের মুখ এবং মাথা থেঁতলানো ছিল। এতটাই, যে প্রথমে ওই মৃত যুবককে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বারাসত থানা থেকে পুলিশ ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ মৃতকে মিঠুন সাহা বলে চিহ্নিত করে। মিঠুন ওই এলাকারই বাসিন্দা। স্থানীয় ব্যবসায়ী। তাঁর বাবা ফণিভূষণ সাহা কাপড়ের ব্যবসায়ী।
বত্রিশ বছরের মিঠুন বিভিন্ন মেলায় স্টল বানানোর ঠিকাদার ছিলেন। ভোর রাতে তিনি কোথায় গিয়েছিলেন বা কোথা থেকে ফিরছিলেন তা-ও পরিবারের লোকজন কিছু জানাতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, মাথা এবং মুখে ভারি কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মিঠুনের সাইকেল তাঁর দেহের পাশেই পড়ে ছিল। ফণিভূষণের অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই কিডনি-গ্রহীতার মৃত্যু, প্রশ্নে পরিকাঠামো
আরও পড়ুন: নিউ টাউনে আইনজীবীর মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা, অভিযুক্ত স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ি
পুলিশ খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে না দিলেও দুর্ঘটনার সম্ভবনা খতিয়ে দেখছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন,“দ্রুত গতির কোনও গাড়ির ধাক্কাতেও অনেক সময় এ রকম আঘাত দেখা যায়। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।” তবে ওই তদন্তকারী আধিকারিক খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, “মিঠুনের মৃত্যু ভোর রাতেই হয়েছে। কারণ, রাতে পুলিশের টহল চলে ওই রাস্তায়। টহলদারিতে থাকা পুলিশ কর্মীরা দেখতে পাননি ওই দেহ।”
(দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ, সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের খবর পেয়ে জান আমাদের রাজ্য বিভাগে।)