Calcutta High Court

আদালতের নির্দেশ মানার প্রয়োজন নেই, মক্কেলকে পরামর্শ দেওয়ায় আইনজীবীকে জেলে পাঠালেন বিচারপতি চন্দ

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একটি মামলায় এক অধ্যাপকের হয়ে হাই কোর্টে দাঁড়ান অরুণাংশু। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মামলায় হেরে যাওয়া সত্ত্বেও ওই অধ্যাপককে ভুল পরামর্শ দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৫ ০০:০৩
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আদালতের নির্দেশ অমান্য, বিচারপতি সম্পর্কে কুমন্তব্য এবং নিজের মক্কেলকে আদালতের নির্দেশ কার্যকর না করার পরামর্শ দেওয়ার কারণে কলকাতা হাই কোর্টের এক আইনজীবীকে কারাবাসের সাজা দিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। শুক্রবার আইনজীবী অরুণাংশু চক্রবর্তীকে চার দিনের জেল খাটার নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি চন্দ শেরিফের মাধ্যমে ওই আইনজীবীকে এজলাস থেকেই গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Advertisement

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একটি মামলায় এক অধ্যাপকের হয়ে হাই কোর্টে দাঁড়ান অরুণাংশু। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মামলায় হেরে যাওয়া সত্ত্বেও ওই অধ্যাপককে ভুল পরামর্শ দেন। তিনি জানান, হাই কোর্ট নির্দেশ দিলেও তা পালন করার প্রয়োজন নেই। অনেক মামলায় দেখা গিয়েছে আদালতের নির্দেশ পালন না করলে কিছুই হবে না। এমনকি এক রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলাতেও ওই আইনজীবী একই পরামর্শ দিয়েছিলেন মক্কেলকে। এ ছাড়া সামাজিক মাধ্যমে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করার অভিযোগ ওঠে অরুণাংশুর বিরুদ্ধে।

বর্তমানে হাই কোর্টে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত মামলা শুনছেন বিচারপতি চন্দ। তাঁর এজলাসে মামলায় পরাজিত হওয়ায় বিচারপতি সম্পর্কেও অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালতে হলফনামা জমা দেয়। সেখানে আইনজীবীর পরামর্শের বিষয়টি উল্লেখ করে তারা। চাপের মুখে পড়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেননি আইনজীবী। নিজের কাজের জন্য আদালতের কাছে তিনি ক্ষমা চাইতেও নারাজ। শেষমেশ বিচারপতি ওই আইনজীবীকে জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement

আইনজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন, আইনজীবী অরুণাংশু এর আগেও বিচারপতিদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তাঁর আচার-ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেছিলেন বিচারপতিরা। অভিযোগ, সেখানেও মক্কেলকে আদালতের নির্দেশ না মানার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় রেহাই দিয়েছিল আদালত। তার পরেও আবার একই ধরনের ঘটনা ঘটালেন ওই আইনজীবী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement