Calcutta High Court

রাজ্যের কোর্টগুলিতে প্রশাসনিক বিষয় সচল রাখতে টাকা চেয়েও কেন মেলেনি? মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চাইল হাই কোর্ট

কলকাতা হাই কোর্টকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়েছেন, দ্রুত পুরো বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করে আদালতকে সেই তথ্য জানাবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৮
Share:

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। — ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্ট ও রাজ্যের অন্যান্য আদালতের প্রশাসনিক বিষয় সচল রাখতে রাজ্য অর্থ বরাদ্দ করছে না বলে অভিযোগ। কেন বরাদ্দ হচ্ছে না, রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে সাত দিনের মধ্যে তা জানতে চাইল আদালত। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের শুনানিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নিয়ম মেনে টাকা চাওয়ার পরেও কেন তা মেলেনি? আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মুখ্যসচিবকে তার কারণ জানাতে হবে।

Advertisement

অন্য দিকে, কলকাতা হাই কোর্টকে মনোজ জানিয়েছেন, দ্রুত পুরো বিষয়টি খোঁজখবর করে তিনি আদালতকে সেই তথ্য জানাবেন। তাঁর উদ্দেশে বিচারপতি বসাকের মন্তব্য, ‘‘সংবিধানের ২২৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাই কোর্ট এবং রাজ্যের বিচারবিভাগীয় কাজের যাবতীয় খরচ দেবে রাজ্য৷ সংবিধানের এই অংশটা দেখুন।’’

অভিযোগ, ২০২৪ সালে কোর্ট চালাতে নির্দিষ্ট ভাবে খরচের জন্য অর্থ চাওয়া হলেও রাজ্য তা দেয়নি৷ ফলে আদালতের অনেক জায়গায় পর্যাপ্ত ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। কার্টিজ, কাগজ নেই। গত বছর ডিসেম্বর মাসে সিসি ক্যামেরা চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, আদালতের পর্যবেক্ষণ, হাই কোর্ট বিল্ডিং কমিটি অনুমোদন প্রাপ্ত ৫৫টি প্রকল্পের জন্য ৫.৬৯ কোটি টাকা দেয়নি রাজ্য। আরও ৩০টি প্রকল্পের ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থ দেওয়া হয়নি। হাই কোর্টে মূল ভবনের নীচে মেডিক্যাল ইউনিটের জন্যও অর্থ মেলেনি বলে অভিযোগ৷ ফলে আইনজীবী বা বিচারপ্রার্থীরা অসুস্থ হলে চিকিৎসা পাবেন না। জুডিশিয়াল ডিপার্টমেন্টে জানানোর পরেও টাকা পাওয়া যায়নি। মুখ্যসচিব জানান, ২৫ অগস্ট হাই কোর্ট প্রশাসনের হলফনামা থেকে তিনি জেনেছেন ১০.৪১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

Advertisement

হাই কোর্ট প্রশাসনের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়াল, জেলা বিচার বিভাগের প্রশাসনিক কাজে এপ্রিল মাসের শুরুতে ৫ লক্ষ টাকা প্রাপ্য ছিল। গত মার্চ মাসের শেষে কিছু টাকা পাওয়া যায়। ১৫ দিনে তা খরচ না হওয়ায় ফিরে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement