Bengal Recruitment Scam

জেলে গিয়ে কুন্তলের বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই, তদন্তকারীদের আর্জি মঞ্জুর করল আদালত

কুন্তলের চিঠি কাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক যে বয়ান দিয়েছেন তার সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজতেই কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল সিবিআই। তার জন্যই আদালতে আবেদন করেছিল তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৩ ২০:৪২
Share:

ফাইল চিত্র

চিঠি কাণ্ডে কুন্তল ঘোষের বয়ান রেকর্ড করতে প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে চেয়েছিল সিবিআই। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনুমতি চেয়েছিল আলিপুর আদালতের। মঙ্গলবার আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তলকে জেলে গিয়েই জেরা করতে পারবেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

Advertisement

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের পর কুন্তলকেও জেরা করতে চেয়েছিল সিবিআই। সেই মতো আদালতে আবেদন জানানো হয়। মঙ্গলবার আলিপুর আদালত তারই অনুমতি দিয়েছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ যে বয়ান দিয়েছেন তার সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজতেই কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন ছিল। তার জন্যই আদালতে আবেদন করা হয়। কী কারণে ওই চিঠি লেখা হয়েছিল? ওই চিঠির পিছনে কারা জড়িত? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই। আদালতের অনুমতি পাওয়ায় চলতি সপ্তাহেই তারা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে কুন্তলকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতিই কুন্তল আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। নিয়োগ মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম জড়ানোর জন্য তদন্তকারীরা তাঁর উপর চাপ দিচ্ছেন এবং সময় বিশেষে অত্যাচারও চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল। এ ব্যাপারে হেস্টিংস থানায় চিঠি লিখে একটি এফআইআরও দায়ের করেন কুন্তল। কিন্তু সেই মামলা কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এলে তিনি জানিয়ে দেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের কোনও থানায় সিবিআই বা ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যাবে না। অন্য দিকে, কুন্তল অসত্য বলছেন এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদে বাধা নেই বলে জানান। যে নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হাও।

গত শনিবার কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে অভিষেককে তলব করে সিবিআই। তিনি হাজিরাও দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে। এর পরই ওই মামলায় কুন্তলকেও জেরা করতে চেয়ে আদালতের অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। তবে কলকাতায় সিবিআইয়ের দফতরে হেফাজতে নিয়ে নয়। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি কুন্তলকে জেলের চৌহদ্দির মধ্যেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে জেরা করার অনুমতি চায় সিবিআই। সম্ভবত কুন্তল যাতে আবার অত্যাচারের অভিযোগ করতে না পারেন সে জন্যই। মঙ্গলবার আলিপুর আদালত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই আর্জিই মঞ্জুর করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন