BJP

দিলীপ, মুকুলকে দিল্লিতে তলব, শুক্রবার বৈঠক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের

কেন দিলীপ-সহ রাজ্য বিজেপির তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দিল্লিতে তলব করা হল তা নিয়ে দলের অন্দরে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জোর প্রস্তুতির মধ্যেই জরুরি বৈঠকের জন্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে দিল্লিতে তলব করলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে যোগ দিতে যেতে বলা হয়েছে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকেও। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই দিল্লি পৌঁছেছেন মুকুল। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে রওনা দিচ্ছেন দিলীপ ও অমিতাভ। তবে রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষের ডাকা ওই বৈঠকে যাচ্ছেন কি না তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

Advertisement

গত ১১ জানুয়ারি সোমবারই দিল্লি গিয়েছিলেন দিলীপ। ফেরেন মঙ্গলবার সকালে। মাঝে একদিন যেতে না যেতেই কেন দিলীপ-সহ রাজ্য বিজেপির তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দিল্লিতে তলব করা হল তা নিয়ে দলের অন্দরে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, অমিত শাহ সব রকম দ্বন্দ্ব ভুলে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিলেও এখনও সব ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। এটা লক্ষ্য করেই রাজ্য নেতৃত্বকে সতর্ক করার জন্যই মুকুল, দিলীপ, অমিতাভকে দিল্লি যেতে বলা হয়েছে। যদিও দিলীপ জানিয়েছেন, এটা রুটিন বৈঠক। তিনি বলেন, “মাঝে মাঝেই সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এমন বৈঠক হয়। এটা নতুন কিছু নয়।”

নয়াদিল্লির পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বিজেপি দফতরে ওই বৈঠকে অমিত শাহর বঙ্গ সফরের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হতে পারেও বলেও রাজ্য বিজেপির একাংশের ধারণা। এক রাজ্য নেতা জানান, “আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন অমিতজি। নানা রকম কথা শোনা গেলেও এখনও পর্যন্ত সেই সফরে কোথায় কবে সভা হবে তা ঠিক হয়নি। শুক্রবারের বৈঠকে সেই সফরসূচি চূড়ান্ত হতে পারে। একই সঙ্গে বিভিন্ন সংসদীয় কমিটিতে কিছু রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সব কমিটিতে রাজ্যের সাংসদদের প্রতিনিধিত্ব নিয়েও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।”

Advertisement

আরও পড়ুন: অভিষেকেই টার্গেট অভিষেকের কেন্দ্র, ডায়মন্ড হারবারেই প্রথম সভা শোভনের

তবে রাজ্য নেতাদের অনেকেই এই বৈঠককে এতটা সহজ-সরল বলে মনে করছেন না। কেউ কেউ বলছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে অনেকে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তার আগে ‘আদি বনাম নব্য’ লড়াইয়ে রাশ টানা এবং ভবিষ্যতে যাতে কোনও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য সতর্কতামূলক আলোচনাই শুক্রবারের বৈঠকের মূল লক্ষ্য।

আরও পড়ুন: ‘গ্ল্যাক্সো বেবি’র পাল্টা ‘পকেটমার’, ব্যক্তি লড়াইয়ে ফের কুণাল-শোভন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement