পুজোর ভোজে অঢেল মুরগি, সস্তাও

পুজোর মুখে চাহিদার থেকে রাজ্যের পোলট্রি খামারগুলিতে চাহিদার থেকে উৎপাদন অনেকটাই বেশি হচ্ছে। ফলে পাইকারি বাজারে খামারের জ্যান্ত ব্রয়লার মুরগির দাম নিম্নমুখী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুজোর মুখে চাহিদার থেকে রাজ্যের পোলট্রি খামারগুলিতে চাহিদার থেকে উৎপাদন অনেকটাই বেশি হচ্ছে। ফলে পাইকারি বাজারে খামারের জ্যান্ত ব্রয়লার মুরগির দাম নিম্নমুখী। তার জেরে অধিকাংশ খুচরো বাজারে কাটা মুরগির মাংসের দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোথাও কোথাও মাংসের দাম অনেকটাই নীচের দিকে। এ বছর রাজ্যের খামারগুলিতে চাহিদার তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ বেশি মুরগি উৎপাদন হয়েছে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ পোলট্রি ফেডারেশনের সম্পাদক মদনমোহন মাইতি জানান, এ বছর যা চাষ হয়েছে, তাতে পুজোর সময় গৃহস্থের ঘরে তো বটেই, হোটেল, রেস্তরাঁ, অন্যান্য খাবারের দোকানে মাংসের অভাব হবে না। মাংসের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফেডারেশনের তরফে প্রতিটি জেলার সদস্যদের মাধ্যমে বিভিন্ন বাজারে সেই ব্যাপারে প্রচার চালানো হচ্ছে।

বিভিন্ন মহলের খবর, রাজ্যের অনেক বাজারে গড়ে ১৩৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কিলোগ্রাম দরে মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে। কোনও ভাবেই যাতে বেশি দাম নেওয়া না-হয়, তার জন্য খুচরো বিক্রেতাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছে ফেডারেশন। যুক্তি, খুচরো বাজারে দাম কম থাকলে চাহিদা বাড়বে। তার জেরে পাইকারি বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

Advertisement

চাহিদা মেটাতে রাজ্যে সাধারণত সপ্তাহে দু’‌কোটি কেজি গোটা মুরগি লাগে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান প্রভৃতি জেলার পোলট্রিগুলিতে বেশি চাষ হওয়ায় জোগান বেড়ে দাঁড়িয়েছে আড়াই কোটি কেজিরও বেশি। পোলট্রি-মালিকদের বক্তব্য, খামারগুলিতে চাহিদার বেশি মুরগি থাকায় এখন পাইকারি দাম চলছে ৭২-৭৫ টাকা কেজি। সেই মুরগি খামার থেকে নিয়ে গিয়ে বাজারে পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকার মধ্যে। ফলে খুচরো বিক্রেতারা ১৩৫-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও ক্ষতি বিশেষ নেই বলেই জানাচ্ছেন সদস্যেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন