State News

নিজামুদ্দিনের সভা-ফেরতদের সোজা নিভৃতবাস

নিজামুদ্দিনের জমায়েতের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের যোগ বেড়েই চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৩:১৬
Share:

ছবি: পিটিআই।

দিল্লির নিজামুদ্দিনের তবলিগ-সমাবেশে রাজ্যের কারা যোগ দিয়েছিলেন এবং রাজ্যে ফিরে তাঁরা কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। কারও নিজামুদ্দিন-যোগের সন্ধান মিললেই তাঁকে বাড়িতে বা সরকারি জায়গায় কোয়রান্টিন বা নিভৃতবাসে পাঠানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় যাতে দেরি না-হয়, তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য দফতরকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও শুক্রবারেও এই নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের কেউ সরকারি ভাবে মুখ খুলতে চাননি।

Advertisement

ওই সমাবেশ থেকে ফেরা, হলদিয়া বন্দরের একটি ঠিকাদার সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ারের শরীরে করোনা মিলেছে। প্রশাসন তাঁকে ১ এপ্রিল হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল না। কিন্তু ২ এপ্রিল কলকাতায় পাঠানো তাঁর লালারসের নমুনায় করোনা পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে পাঠানো হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে।

নিজামুদ্দিনের জমায়েতের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের যোগ বেড়েই চলেছে। ওই সমাবেশে গিয়েছিলেন, এমন নতুন ছ’জনের খোঁজ মিলেছে শুক্রবার। এ-পর্যন্ত ওই জেলায় ২৬ জনকে চিহ্নিত করে পাঠানো হয়েছে রাজারহাটের সরকারি নিভৃতবাসে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে প্রথম কোনও নার্সের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর, আক্রান্ত আরও সাত

পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান শুক্রবার জানান, তাঁর জেলার ৫৪ জন দিল্লির ওই ধর্মীয় জমায়েতে গিয়েছিলেন। তবে তাঁদের কেউই জেলায় ফেরেননি। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় নিজামুদ্দিন-ফেরত ১০ জনের খোঁজ মিলেছে। দিন দশেক আগে তাঁরা এলাকায় ফেরেন। শরীরে করোনার লক্ষণ ধরা পড়েনি। তবে তাঁদের রাজারহাটে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে তাঁদের পরিবারের অন্যদের। তাঁদের খোঁজ রাখছেন স্বাস্থ্য দফতরের স্থানীয় কর্মীরা।

নিজামুদ্দিন-ফেরত এক ব্যক্তির লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে কোচবিহারের স্বাস্থ্য বিভাগ। তিনি ১১ মার্চ ওই সভা থেকে দিনহাটার বাড়িতে ফেরেন। জ্বর হওয়ায় তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জ্বর হওয়ায় তাঁর পরিবারের আরও তিন জনকেও নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। নিজামুদ্দিন-ফেরত ৩৭ জনকে কলকাতায় পাঠিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। ১০ মার্চ নিজামুদ্দিন থেকে ফেরা নদিয়ার শান্তিপুরের এক যুবককে ফুলিয়ায় নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। তবে তাঁর উপসর্গ না-থাকায় লালারস পরীক্ষা করা হয়নি।

পিটিআইয়ের খবর, নিজামুদ্দিন-ফেরত এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্তত ২২৫ জনকে নিভৃতবাসে রেখেছে রাজ্য সরকার। নিজামুদ্দিন-যোগে গোটা দেশে অন্তত ৪০০ জনের শরীরে করোনা মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। সভায় থাকা ব্যক্তিদের কেন্দ্রীয় তালিকা পাওয়ার পরে প্রথম দিনে ৪০ জন বিদেশি-সহ ৫৪ জনকে চিহ্নিত করেছিল রাজ্য প্রশাসন।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন