Coronavirus in West Bengal

Coronavirus in West Bengal: সাড়ে ৪ মাস পর রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত দেড় হাজারের কাছে, কলকাতায় ৫৮৯

বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪২৪ জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২২ ১৯:৩৮
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আশঙ্কা ছিল, চলতি সপ্তাহে হাজারের গণ্ডি পার করবে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার তা হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিল। বুধবার এক লাফে তা বেড়ে পৌঁছে গেল একেবারে দেড় হাজারের কাছে। রাজ্যে প্রায় সাড়ে চার মাস পর দৈনিক আক্রান্ত হাজারের গণ্ডি পেরোল। শুধু দৈনিক আক্রান্তই নয়, দৈনিক সংক্রমণের হারেও বড় লাফ দেখা গেল বুধবার। তা ছাড়িয়ে গেল ১০ শতাংশ। শেষ বার রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের বেশি ছিল গত জানুয়ারি মাসে। দৈনিক সংক্রমণের সাম্প্রতিক স্ফীতি দেখে আশঙ্কিত চিকিৎসক মহল। তাদের তরফে অক্ষরে অক্ষরে কোভিডবিধি পালনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশিই, গত ২৪ ঘণ্টায় দু’জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪২৪ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২৭ হাজার ৯০১ জন। রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই কলকাতার অধিবাসী। মহানগরে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৯ জন। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনাও। ওই জেলায় আক্রান্ত ৩৮৮ জন। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির কোভিড পরিস্থিতি প্রশাসনের নজরে রয়েছে। ওই তিন জেলায় দৈনিক আক্রান্ত যথাক্রমে ৮৭ জন, ৭৭ জন, ৬৪ জন। প্রসঙ্গত, রাজ্যে শেষ বার হাজারের উপর দৈনিক আক্রান্ত নথিভুক্ত হয়েছিল গত ৫ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন এক হাজার ৩৪৫ জন।

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২১৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ১৭৬ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ১২.৭৪ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে পাঁচ হাজার ৮৮৫।

Advertisement

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন