বেলঘরিয়ার প্রৌঢ়ের শেষকৃত্যে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের

যদিও  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর প্রৌঢ়ের মৃত্যু নিয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০ ২২:২৯
Share:

স্থানীয়দের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

বেলঘরিয়া নার্সিংহোমে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে বুধবার সকালে। সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। ধাপার শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পোড়ানোর উদ্যোগ শুরু হতেই এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গত ২৬ মার্চ করোনার উপসর্গ নিয়ে বেলঘরিয়ার একটি ভর্তি হয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। মঙ্গলবার তাঁর রিপোর্টের নমুনায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তার পরেই বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর প্রৌঢ়ের মৃত্যু নিয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

Advertisement

বেলঘরিয়ার ওই নার্সিংহোমের জেনারেল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম শেঠ বলেন, “৯টা ২৫ মিনিটে মারা গিয়েছেন ওই প্রৌঢ়। গত ২৬ তারিখে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। জ্বর, সর্দি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে সব কিছু করা হয়েছে। এখন বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতর দেখছে।”

রাজ্যে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল দমদমের এক বাসিন্দার। নিমতলা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য নিয়েও ব্যাপক জটিলতা তৈরি হয়েছিল। শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে দেওয়া যাবে না বলেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ডোমেরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের বার বার বোঝানোর পর অবশেষে মধ্যরাতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

Advertisement

এ দিন ধাপার বৈদ্যুতিক চুল্লিতে বেলঘরিয়ার ওই প্রৌঢ়ের শেষকৃত্য প্রক্রিয়া শুরু হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী।

আরও পড়ুন: নয়াবাদের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

আরও পড়ুন: করোনা-লকডাউনের সাঁড়াশি চাপে রাজ্য জুড়ে রক্তের হাহাকার

বেলঘরিয়ার রথতলায় ওই প্রৌঢ়ের একটি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে।বেলঘরিয়ার রথতলায় ওই প্রৌঢ়ের একটি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে।পারিবারিক একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতান্নর ওই প্রৌঢ়ের বিদেশ বা ভিন্ রাজ্যে যাওয়ার ইতিহাস নেই। তবে তাঁর এক পরিচিত ভিন রাজ্য থেকে এসেছিলেন। সেখান থেকে কোনও ভাবে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না, তা দেখা হচ্ছে। ফাস্ট ফুডের দোকান চালাতেন, সেখানে প্রতিদিনই বহু ক্রেতা আসতেন। সে দিকটাও মাথায় রাখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন