বিমানদের কাছে কংগ্রেস-সঙ্গ নিয়ে ক্ষোভ সিপিআইয়ের

সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য শরিক দলকে জানিয়েছেন, বিজেপি এবং তৃণমূলকে ঠেকানোই মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই এগোতে হবে এবং এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় আসেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৮ ০৪:১৬
Share:

বিমান বসু। —ফাইল চিত্র।

কয়েক মাস আগে দলের কোল্লাম পার্টি কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাস্ত করে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যেতে হবে। অথচ সেই সিপিআইয়েরই রাজ্য নেতৃত্ব আলিমুদ্দিনে সিপিএমের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করে বামেদের কোনও লাভ হচ্ছে না! তাঁদের আর্জি, লোকসভা ভোটের আগে সিপিএম যেন সমঝোতার ব্যাপারে ভেবে দেখে। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য শরিক দলকে জানিয়েছেন, বিজেপি এবং তৃণমূলকে ঠেকানোই মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই এগোতে হবে এবং এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় আসেনি।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের পরে সিপিআইয়ের রাজ্য পরিষদের বৈঠকে যে মনোভাব উঠে এসেছিল, তার নির্যাসই বুধবার সিপিএমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জানিয়ে এসেছেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মঞ্জুকুমার মজুমদারেরা। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় ২০১৬ থেকেই দেখা যাচ্ছে, সমঝোতার ভিত্তিতে বাম কর্মী-সমর্থকেরা কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। কংগ্রেসের আসন বাড়ছে। কিন্তু কংগ্রেসের সব অংশের ভোট বামেদের বাক্সে সে ভাবে আসছে না। উল্টে কংগ্রেসকে জায়গা ছাড়তে গিয়ে বাম শরিকেরা উপেক্ষিত হচ্ছে সিপিএমের কাছে। সিপিএম অবশ্য দলের অন্দরে সুদীর্ঘ বিতর্ক পেরিয়ে এপ্রিলে হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেসে রাস্তা খুলতে পেরেছে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার। স্বভাবতই শরিক নেতাদের কথা শুনেই এ দিন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা পথ বদলের কোনও আশ্বাস দেননি। তবে লোকসভা ভোটের কৌশল চূড়়ান্ত করার আগে খোলা মনেই ভাবনাচিন্তার কথা বলেছেন। কংগ্রেস-প্রশ্নেই আজ, বৃহস্পতিবার ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি-র দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement