দশের নীচে বামেরা

রায়গঞ্জ, ডোমকল ও পূজালি পুরসভায় এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল সিপিএম। আনুষ্ঠানিক জোট ছাড়াও নাগরিক মঞ্চের নামে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৭ ০৩:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রায়গঞ্জ, ডোমকল ও পূজালি পুরসভায় এ বার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল সিপিএম। আনুষ্ঠানিক জোট ছাড়াও নাগরিক মঞ্চের নামে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুধবার ভোটযন্ত্র খোলার পরে দেখা গেল, সিপিএমের হাল শোচনীয়! নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, রায়গঞ্জে ৯টি ওয়ার্ডে লড়াই করে সিপিএম পেয়েছে মাত্র ৩.৫% ভোট! ডোমকলে তাদের প্রাপ্তি ৭.৬% ভোট। আর পূজালিতে চারটি ওয়ার্ডে লড়াই করে সাকুল্যে দু’শো ভোটও জোটেনি তাদের!

Advertisement

এই বিপর্যয় স্বস্তি এনেছে বিজেপি-তে। রায়গঞ্জে সিপিএমের লড়াই করা ওয়ার্ডগুলির মধ্যে বেশির ভাগেই বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে এসেছে, জিতেছে একটিতে। রায়গঞ্জ বা পূজালির ভোট-প্রবণতা থেকে ইঙ্গিত মিলছে, বামেদের ভোটই বিজেপির বাক্সে গিয়েছে। তুলনায় কংগ্রেসের অবস্থা মন্দের ভাল! গড় হারালেও রায়গঞ্জে তারা পেয়েছে ১৯% ভোট। ডোমকলে ৮.৩% এবং পূজালিতে ১৪%। বাম ও কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, প্রহসনের এই ভোট থেকে কোনও সিদ্ধান্ত টানা উচিত নয়। তবে অন্দরে সিপিএম নেতৃত্ব মানছেন, গা-জোয়ারির সামনে বুথ আগলে পড়ে থাকার লোক মিলছে না বলেই এমন করুণ হাল। বিধানসভায় বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক, কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘ভোট তো লুঠ হয়েছে। এখানে হারানোর কিছু নেই।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘সমবায় বা বিভিন্ন সংস্থার ইউনিয়নের ভোটে মানুষ ভোট দিতে পারলে বামেরা জিতছে। এই পুরভোটেও পুনর্নির্বাচনের ৬টি বুথের পাঁচটিতেই তৃণমূল হেরেছে। পুলিশ ও গুন্ডাবাহিনী দিয়ে জবরদস্তি না করলে তৃণমূল এই ভোট পেত না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement