তদন্তে সিআইডি, আস্থা নেই দাড়িভিটের

রাজেশের বাবা দুলাল সরকার বলেন, ‘‘পুলিশ আমার ছেলেকে গুলি করে মেরেছে। তাই সিআইডি তদন্ত হলে তারা সত্য ধামাচাপা দেবে। আমরা ওই তদন্ত মানব না।’’

Advertisement

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৪
Share:

ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুল।—নিজস্ব চিত্র।

এক সপ্তাহ হয়ে গেল দাড়িভিট কাণ্ডের। উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রান্তিক গ্রামটি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে পুলিশের উপরে ক্ষোভ একটুও কমেনি গ্রামবাসীর। এ দিনই দাড়িভিট কাণ্ডের তদন্তভার সিআইডি-র হাতে দিয়েছে জেলা পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার সে কথা জানিয়েছেন। কিন্তু রাজেশ সরকার, তাপস বর্মণের পরিবার থেকে শুরু করে গ্রামের অনেক মানুষই বলেছেন, তাঁরা সিআইডি তদন্ত মানেন না।

Advertisement

রাজেশের বাবা দুলাল সরকার বলেন, ‘‘পুলিশ আমার ছেলেকে গুলি করে মেরেছে। তাই সিআইডি তদন্ত হলে তারা সত্য ধামাচাপা দেবে। আমরা ওই তদন্ত মানব না।’’ তাপসের বাবা বাদল বর্মণ বলেন, ‘‘পুলিশ সত্য চাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা সিআইডি তদন্ত মানি না।’’ রাজেশের বাড়ির কাছেই থাকেন শ্রীকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘দিনের বেলা গুলি করে দুই ছাত্রকে মেরে ফেলার পর সত্যতা স্বীকার করছে না পুলিশ। তাই রাজ্য সরকারের কোনও তদন্তের উপরই আমাদের আস্থা নেই।’’

তবে সকলেই চাইছেন, এলাকায় শান্তি ফিরুক। এ দিন কিছু দোকানপাট খুলেছে গ্রামে। আতঙ্ক কাটিয়ে কাজে বার হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু অস্বস্তি এখনও কাটেনি। এ দিন তাই দাড়িভিটে শান্তি বৈঠক করার দাবি তুলেছে পাঁচটি সমাজসেবী সংগঠন। তাঁরা একযোগে ইসলামপুর মহকুমাশাসকের কাছে এই নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। পাশাপাশি তাপস, রাজেশের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গেও কথাও বলেন। দলের সদস্য পাশারুল আলম বলেন, ‘‘দাড়িভিটে দ্রুত শান্তি বৈঠক করা জরুরি। মানুষের মনে ভয় না কাটলে, স্কুল না খুললে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না।’’

Advertisement

শুধু দাড়িভিট নয়, সংলগ্ন সুখানিভিটা, মাঝপাড়া, কালিবাড়ি, কুন্দরগাও, ধোলাইবস্তি, গোলাপাড়াতে এখনও চাপা আতঙ্ক। ওই সব এলাকা থেকেও ছাত্রছাত্রীরা দাড়িভিট হাইস্কুলে পড়তে আসে। সকলেই চাইছেন, শান্তি ফিরুক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement