ভাঙচুরের পরে অফিসের দশা। —নিজস্ব চিত্র।
একশো দিনের কাজে দলবাজির অভিযোগ তুলে সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে মারধর, ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে শাঁড়াপুল-নির্মাণ পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূল অবশ্য ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ একশো দিনের কাজ-সহ পঞ্চায়েতের কিছু কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতে হাজির হয় এক দল গ্রামবাসী। কর্মী এবং পঞ্চায়েত সদস্যেরা হকচকিয়ে যান। হঠাৎই শুরু হয় ভাঙচুর। বাধা দিতে গেলে পঞ্চায়েত প্রধান-সহ কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিডিওকে ফোন করে সাহায্য চান প্রধান সাহাবুদ্দিন গাজি। পরে পুলিশ এলে বিক্ষোভকারীরা ফিরে যায়।
ওই পঞ্চায়েতের ১৯টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই জয়ী হয়েছিল সিপিএম। বাকি ৪টি পায় তৃণমূল। প্রধান বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কথা বলার অজুহাতে তৃণমূলের ৩০-৩৫ জন অফিসে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে মারধর করে।” সাহাবুদ্দিনের দাবি, লোকসভা ভোটে স্বরূপনগরে ভাল ফল করেনি তৃণমূল। সেই আক্রোশেই হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছেন তাঁরা। পঞ্চায়েতের কাজ বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএমের প্রধান।
তৃণমূল নেতা রমেন সর্দার বলেন, “ইছামতীর পলি কাটা নিয়ে দুর্নীতি করছেন প্রধান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দলীয় কর্মীদেরই কাজ দিচ্ছেন। নদীর পলিমাটি বণ্টন নিয়েও পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, এ সব নিয়ে গ্রামের মানুষ ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাঁরাই প্রতিবাদ জানান। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।