বিমানে বিকল এসি। ছবি: সংগৃহীত
আতঙ্কের উড়ান যাত্রা।
কাজ করছে না বিমানের এসি। মাঝ আকাশে ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল দশা যাত্রীদের। গুমোট পরিবেশে বয়স্ক কিছু যাত্রীর শুরু হয়ে যায় শ্বাসকষ্ট। কিন্তু অক্সিজেন মাস্কও ঠিক মতো কাজ করেনি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে হাতের কাছে যে যা পেলেন, খবরের কাগজ, বই, ম্যাগাজিন, হাতপাখা— তাই দিয়েই হাওয়া খেলেন যাত্রীরা। রবিবার বাগডোগরা থেকে দিল্লিগামী বিমানের এই গোলযোগের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
রবিবার দুপুরে ১৬৮ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-৮৮০ বিমানটি বাগডোগরা থেকে দিল্লির উদ্দেশে ওড়ে। ওড়ার পরেই বিকল এসির কারণে সমস্যার শুরু। বিমানযাত্রীদের অভিযোগ, ওড়ার আগে থেকেই এসিগুলি কাজ করছিল না। কিন্তু বিমানের কর্মীরা জানান, বিমান আকাশে উঠলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু ওড়ার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া দূরের কথা, গরম, উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কে বিমানের ভিতরে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। বই, ম্যাগাজিন, খবরের কাগজ দিয়ে কোনও রকমে যাত্রীদের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টার ছবি এক যাত্রীই ভিডিও তুলে টুইটারে পোস্ট করে দেন। যে ভিডিও দেখে হতবাক অনেকেই। অবশেষে দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরে স্বস্তি ফিরে পান যাত্রীরা। বিমানবন্দরেই এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। তাঁদের প্রশ্ন, বিমানের এসি বিকল হয়ে থাকলে পাইলট বিমানটি নিয়ে উড়লেন কেন?
তবে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের দাবি, বাগডোগরা থেকে বিমান ওড়ার সময় কোনও গোলযোগ ছিল না। দিল্লি পৌঁছনোর পরেই যাত্রীদের অনেকে এসি কাজ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, বিমানটিতে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি ছিল না। অক্সিজেনের ঘাটতি হলে অক্সিজেন মাস্ক নেমে আসত। এই নিয়ে পাইলটও তাঁদের কোনও রিপোর্ট দেননি। তবে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এসি কাজ করছিল না।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের এয়ার ইন্ডিয়ার স্টেশন ম্যানেজার ভাস্কর রায়ও বলেন, ‘‘বিমানটিতে কোনও ত্রুটি বাগডোগরার মাটিতে থাকার সময় ধরা পড়েনি। নইলে তো বিমানটি ওড়ার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হতো।’’