Nadia

Rape: গাংনাপুর ধর্ষণ এবং খুনের তদন্তের ভার দিন দময়ন্তীকে, হাই কোর্টে নির্যাতিতার বাবা

গত ৬ মার্চ ওই বধূকে ধর্ষণের পরে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়। ১৪ মার্চ কল্যাণীর হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫০
Share:

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে তাঁর ভূমিকা বিভিন্ন স্তরে প্রশংসিত হয়েছিল। রাজ্যের সাম্প্রতিক চারটি ধর্ষণ মামলার তদন্তেও তাঁকে নজরদারির ভার দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এ বার আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের হাতে নদিয়ার গাংনাপুরে এক বধূকে ধর্ষণ এবং খুনের তদন্তের নজরদারির দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টে।

নির্যাতিতার বাবার সেই আবেদন বৃহস্পতিবার গ্রহণ করেছে হাই কোর্ট। শুক্রবার প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হতে পারে।

Advertisement

গত ৬ মার্চ নদিয়ার গাংনাপুরে বাড়িতে ঢুকে ওই বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের পরে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। ১৪ মার্চ কল্যাণীর সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার পর তাঁরা একাধিক বার পুলিশের কাছে গিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত এফআইআর গ্রহণ করেনি।

থানার সাহায্য না পেয়ে তাঁরা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখান থেকেও তাঁরা কোনও রকম সহায়তা পাননি। ঘটনার দেড় মাসের পরেও পুলিশের সহায়তা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গত সপ্তাহের রাজ্যের চারটি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তে নজরদারির দায়িত্ব পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দময়ন্তী। প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ দেগঙ্গা, মাটিয়া, বাঁশদ্রোণীর এবং ইংরেজবাজার ধর্ষণের মামলার তদন্তের উপর নজরদারির দায়িত্ব দেন তাঁকে।

২০১২ সালের পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ-কাণ্ডের সময় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন। তখন তিনিই ওই ঘটনার তদন্ত করেছিলেন। ঘটনাচক্রে, তখন সদ্য ক্ষমতায়-আসা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ঘটনাকে ‘সাজানো ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। দময়ন্তী যদিও তাঁর তদন্তের প্রেক্ষিতে ধর্ষণ হয়েছে বলেই রিপোর্ট দিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন