আনাজ আগুন, ঘাটতি ইলিশের

আনাজের বাজারে ঝিঙে, পটল বা বেগুনের ঘাটতি নেই। তবে চাহিদার তুলনায় ফুলকপি ও বাঁধাকপির জোগানে কিছুটা টান রয়েছে। গৃহস্থ বাড়ির প্রয়োজন ছাড়াও ভোগে লাগে আনাজ-মাছ। মহাষ্টমীতে বেশির ভাগ পুজোয় নিরামিষ ভোগ রান্না হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫৬
Share:

—প্রতীকী ছবি

মহোৎসবে কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে প্রতিটি খুচরো বাজারেই সব ধরনের আনাজের দাম বেশ চড়া। মাছের বাজারে ঢুকলেই দামের উচ্চ তাপ মালুম হচ্ছে। বিশেষত ইলিশ অগ্নিমূল্য। জোগান পর্যাপ্ত নয়।

Advertisement

আনাজের বাজারে ঝিঙে, পটল বা বেগুনের ঘাটতি নেই। তবে চাহিদার তুলনায় ফুলকপি ও বাঁধাকপির জোগানে কিছুটা টান রয়েছে। গৃহস্থ বাড়ির প্রয়োজন ছাড়াও ভোগে লাগে আনাজ-মাছ। মহাষ্টমীতে বেশির ভাগ পুজোয় নিরামিষ ভোগ রান্না হয়। অধিকাংশ গৃহস্থ বাড়িতেও এ দিন পাতে পড়ে শুধু নিরামিষ পদ। ফলে বুধবার সকাল থেকে সব ধরনের আনাজেরই চাহিদা ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে ফুলকপি আর বাঁধাকপির চাহিদা আকাশছোঁয়া। অধিকাংশ বাজারেই একটু বড় ফুলকপি, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পটল, বেগুনের দামও ছিল ৫০-৬০ টাকা কেজি। ফলে আনাজ কেনাকাটায় বাজেটের একটু বেশিই খরচ করতে হয়েছে পুজোর উদ্যোক্তাদের।

মাছের বাজার এমনিতেই আগুন। আজ, বৃহস্পতিবার মহানবমী এবং কাল, শুক্রবার বিজয়াদশমীতে অনেক পুজোয় দুর্গাকে ইলিশের ভোগ দেওয়া হয়। দশমীতে অনেক জায়গায় জোড়া ইলিশও দেওয়া হয় দেবীকে। ফলে আনাজের পাশাপাশি বুধবার থেকে বাজারে ইলিশেরও চাহিদা বেড়েছে। জোগানে ঘাটতি থাকায় বাড়ছে দাম। পুজো-উদ্যোক্তারা জানান, অধিকাংশ বাজারেই ইলিশের দাম বেশ চড়া এবং হিমঘরের ইলিশই বেশি। পাইকারি বাজারগুলিতেও টাটকা ইলিশের জোগান নামমাত্র। কিছু কিছু যদিও বা মিলছে, দাম অনেকেরই নাগালের বাইরে। বুধবার কলকাতার বিভিন্ন বাজারে হিমঘর থেকে বার করা রায়দিঘি বা কাকদ্বীপের ৭০০-৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন