পসরা: জামাইষষ্ঠীর ইলিশে বাংলার কপাল তত ভাল না হলেও ত্রিপুরার বাজার সরগরম। আগরতলার বটতলা বাজারে। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী
বাদ সাধছে আবহাওয়া। ইলিশের জোগান পর্যাপ্ত নয়। ষষ্ঠীতে জামাইদের পাতে টাটকা ইলিশ প়ড়লেও দাম হবে চড়া। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে ১৪ জুন রাতে মাছ ধরতে গিয়েছে ট্রলারগুলি। মঙ্গলবার জামাইষষ্ঠী। ফলে সোমবারই ফিরে আসছে অধিকাংশ ট্রলার। ওয়্যারলেস বার্তায় জানা গিয়েছে, ইলিশ উঠছে, তবে যথেষ্ট নয়।
জামাইষষ্ঠীর বাজারে ইলিশের দাম কেমন হবে? ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনে’র রাজ্য সহ-সম্পাদক তথা ‘দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন, দিঘা মোহনায় পাঁচশো গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম হতে পারে সাতশো টাকা। আর ছ’শো গ্রাম বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম দাঁড়াবে এক হাজার টাকা বা তারও বেশি।
মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, আষাঢ় প়ড়লেও সে ভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। উল্টে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে এখনও বড় বড় ঢেউ রয়েছে। কারণ, কিছুদিন আগে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল, তার রেশ এখনও আছে। ফলে ভাল করে জাল ফেলা যাচ্ছে না। ট্রলার মালিক
সুজিত কর বলেন, ‘‘গত ১৫ জুন মোটামুটি ভাল ইলিশ উঠেছিল। হঠাৎ গরম পড়ায় ১৬ তারিখ থেকে তার অর্ধেক মাছ উঠছে।’’ শ্যামসুন্দরবাবুর কথায়, “ওয়্যারলেসে যোগাযোগ রাখছি। ইলিশ উঠলেও পর্যাপ্ত নয়।’’
সাধারণ ভাবে ট্রলার-প্রতি রোজ গড়ে এক টন মাছ ধরে।
মৎস্যজীবীদের সংগঠন সূত্রের খবর, এখনও যা পরিস্থিতি, তাতে আজ পর্যন্ত দু’টন ইলিশ জালে উঠতে পারে। ফলে, ইলিশে জামাই বরণে বাজেট বাড়াতেই হবে শ্বশুর-শাশুড়িদের!