—প্রতীকী চিত্র।
হাওড়ার বালিতে এক তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় গুরুতর আহত ওই পঞ্চায়েত প্রধান-সহ আরও এক জন। বর্তমানে দু’জনেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
সাঁপুইপাড়া-বসুকাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান দেবব্রত মণ্ডল (বাবু) একটি অনুষ্ঠান থেকে রাত ১০টা নাগাদ বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনুপম রানা নামের আরও এক জন। নিশ্চিন্দা এলাকার বুড়ো শিবতলার কাছে একটি জায়গায় বাইকে করে দু’জন দুষ্কৃতী দেবব্রতদের কাছে এসে ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন।
দেবব্রত মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে উদ্ধার করে স্থানীয়েরা তাঁদের বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয় হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন অনুপম। প্রধানের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দু’জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
খবর পয়ে পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী পৌঁছোন ঘটনাস্থলে। অন্য দিকে, হাওড়ায় দু’জনে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সেখানে গিয়েছিলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ রাউন্ড গুলি চলেছিল। দেবব্রতের কোমর ও কাঁধে গুলি লেগেছিল। অনুপম দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। কমিশনার জানিয়েছেন, কী কারণে গুলি চলেছে এবং এতে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তল্লাশি চলছে।
হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি কৈলাশ মিশ্র অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির দিকে। বিধায়ক কল্যাণ জানান, দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। প্রধানের ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, বাসু নামের এক সন্ত্রাসবাদী এই ঘটনায় যুক্ত।