চারটি কেন্দ্রেই জয় লাভ করেছে তৃণমূল। —প্রতীকী চিত্র।
রবিবার হুগলির পাণ্ডুয়ার চারটি কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে সমবায় নির্বাচন হয়। ফল বেরোতে দেখা গেল চারটি কেন্দ্রেই জয় লাভ করেছে তৃণমূল। তবে আসন পেয়েছে বাম ও বিজেপিও। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সমবায় নির্বাচন থেকেই পরিষ্কার বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হবে তৃণমূল। পাণ্ডুয়া এখন তৃণমূলের গড়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, প্রার্থী দিতে পারলেই ভল ফল করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বামদের দাবি, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল হুমকি দেওয়া ও ভয় দেখাতে শুরু করে। মানুষ রায় দিতে পারলে তৃণমূল আর থাকবে না।
পাণ্ডুয়ার দেপাড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ১২টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল। মাগুরা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট আসন সংখ্যা ছিল ৯। এই কেন্দ্রের আসনগুলিতে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল ও সিপিএম। বিজেপি কোনও প্রার্থী দেয়নি। ফল বেরোতে দেখা গেল ৯টি আসনেই তৃণমূল জয় লাভ করেছে। পাকরি রাধানগর কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট আসন সংখ্যা ছিল ৭৭ টি। এর মধ্যে তৃণমূল জয়লাভ করেছে ৪৭ টি আসনে। বিজেপি ও সিপিএম জয় লাভ করে যথাক্রমে ১৩ ও ১৪টি আসনে। তিনটি আসনে কোনও দলের পক্ষ থেকেই প্রার্থী দেওয়া হয়নি। নান্দিন গ্রাম সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট আসন সংখ্যা ছিল ৫০টি। তার মধ্যে ৩৪টি আসনে তৃণমূল জয়ী। বিজেপি জয়ী ১৫টি আসনে। সিপিএম জয় লাভ করেছে একটি আসনে।
ফল প্রকাশের পরেই সবুজ আবির নিয়ে বিজয়োৎসব শুরু করে তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা। ফলাফল প্রসঙ্গে পাণ্ডুয়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘‘ব্লকে যে সমবায় নির্বাচন হচ্ছে তাতে বিরোধীরা অনেক জায়গাতে প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়নে চাষিরা উপকৃত হয়েছে বলেই আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূল পাণ্ডুয়াকে দুর্গে পরিণত করেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও তার ফল পাওয়া যাবে।’’ পাণ্ডুয়া মণ্ডল ৫- এর বিজেপি সভাপতি অভিষেক আদক বলেন, ‘‘নন্দিন গ্রাম সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে আমরা ১৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। তার মধ্যে ১৫ টিতে জয়লাভ করেছি। বিধানসভা নির্বাচনে আমরা আরও ভাল ফল করব।’’ পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকেই হুমকি ও ভয় দেখানো শুরু করেছিল তৃণমূল। তার পরেও যেখানে ভোট হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে খুব কম ব্যবধান।মানুষ রায় দিলে তৃণমূল আর থাকবে না জেনেই ভয় পাচ্ছে ওরা।’’