তনুশ্রী ভট্টাচার্য।
কলকাতা বিমনবন্দর লাগোয়া হোটেলে নিহত তরুণী নাম ভাঁড়িয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিল।
গত ৮ জানুয়ারি, রবিবার দমদম বিমানবন্দরের কাছে একটি হোটেল থেকে পুলিশ লাল টপ এবং নীল রঙের স্কার্ট পরা ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করলেও তাঁর সঙ্গীর হদিস পায়নি। যদিও হোটেলের রেজিস্টারে দু’জনের নাম ছিল। পুলিশ জানতে পারে বছর তিরিশের ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ হোটেলের রেজিস্টার থেকে জানতে পারে তরুণীর নাম দুর্গা ভট্টাচার্য ও তাঁর সঙ্গীর নাম শুভম ভট্টাচার্য। ঠিকানা লেখা ছিল হুগলির ব্যান্ডেল। কিন্তু রেজিস্টারের নাম আসল নয় বলে সন্দেহ হওয়ায় তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, চুঁচুড়ার টালিখোলা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীর আসল নাম তনুশ্রী ভট্টাচার্য। ছেলেটির নামও আসল কি না খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
রবিবার তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর তা শনাক্ত করা যায়নি। ফলে দেহটি ব্যারাকপুর কমিশনারেট মর্গে পড়েছিল। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বছর খানেক আগে তনুশ্রীর স্বামী দীপন ভট্টাচার্য হুগলি মোড়ে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি টালিখোলা এলাকাতেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। তাঁর বাপের বাড়ি ধনেখালি। পুলিশ সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার তনুশ্রীর শাশুড়ি বউমার দেহ পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে যান।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘সম্ভবত দু’জনেই হোটেলের খাতায় ভুল নাম ও ঠিকানা লিখে ঘর ভাড়া নিয়েছিল। ছেলেটি মেয়েটিকে গলা টিপে খুন করে উধাও হয়ে যায়।’’ বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশ ওই যুবকের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে।