Suicide

বাড়ি থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ী দম্পতির ঝুলন্ত দেহ

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, লকডাউনে ব্যবসায় মন্দা চলায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন স্বামী-স্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২০ ০৭:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি

হাওড়ার সালকিয়ায় নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক ব্যবসায়ী দম্পতির মৃতদেহ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সালকিয়ার কালীচরণ দাস লেনে। মৃতদের নাম বাসুদেব সাধুখাঁ (৭০) এবং সন্ধ্যা সাধুখাঁ (৬২)। পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতে বাড়ির লোকজনই বাসুদেববাবু ও সন্ধ্যাদেবীকে তাঁদের ঘরের সিলিং থেকে গলায় কাপড় ও নাইলনের দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বড়বাজারে বাসনপত্রের দোকান আছে বাসুদেববাবুদের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, লকডাউনে ব্যবসায় মন্দা চলায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন স্বামী-স্ত্রী। তা থেকেই তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতদেহ দু’টি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর পর্যন্ত একদম স্বাভাবিক ছিলেন বাসুদেববাবু ও সন্ধ্যাদেবী। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পরে নিজেদের ঘরে শুয়ে ছিলেন তাঁরা। মৃত দম্পতির বৌমা রিমা সাধুখাঁ সোমবার জানান, রবিবার সন্ধ্যা সওয়া ছ’টা নাগাদ তাঁর ছেলে দাদু–ঠাকুরমাকে ডাকতে গিয়ে দেখে, তাঁদের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডেকেও সাড়া না-পাওয়ায় রিমার স্বামী সুশান্ত সাধুখাঁ ঘরের পিছন দিকের একটি দরজা ভাঙেন।

Advertisement

রিমা বলেন, ‘‘দরজা ভাঙতেই বাবা ও মায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই। আমার স্বামী দেহ দু’টি নামিয়ে গোলাবাড়ি থানায় খবর দেন। ওঁরা কেন এমন করলেন বুঝতে পারছি না।’’

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতির দেহের কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ইদানীং বড়বাজারে দোকানে যেতেন না বাসুদেববাবু। ছেলে সুশান্তই ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। কিন্তু তা-ও কেন তাঁরা অবসাদে ভুগছিলেন, বুঝতে পারছেন না পরিবারের কেউই। তবে করোনার জন্য ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ায় পরিবারে মনোমালিন্য চলছিল কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বাসুদেববাবুরা পাড়ায় খুব বেশি মেলামেশা করতেন না। এলাকার লোকজনও তাই ওই পরিবার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানতেন না। ফলে এক ছেলে, বৌমা, দুই নাতিকে নিয়ে থাকা সাধুখাঁ পরিবারে কোনও বড় ধরনের অশান্তি হয়েছিল কি না, সেটাও জানেন না কেউ। পুলিশ সব দিকই তদন্ত করে দেখছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন