মৃতা সুস্মিতা মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়তি পণ না দেওয়ায় বাঁশবেড়িয়ার মিলন পল্লির খারকোল মাঠ এলাকার এক গৃহবধূর উপরে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল আগেই।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে সুস্মিতা মজুমদার (২০) নামে ওই গৃহবধূর মৃত্যুতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার করা হল তাঁর স্বামী সত্যজিৎ এবং শ্বশুর ইন্দ্রজিৎ মজুমদারকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ১ জুলাই বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাসিন্দা সুস্মিতার সঙ্গে সত্যজিতে বিয়ে হয়। সুস্মিতার বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, পণ দেওয়া সত্ত্বেও বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হতে থাকে। মেয়ের উপরে অত্যাচারও চলতে থাকে। পড়শিদের সঙ্গে তাঁর মেলামেশা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সুস্মিতাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
শনিবার সকালে তিনি মারা যান। তাঁর বাপেরবাড়ি লোকজন এসে সুস্মিতার স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। সুস্মিতার মা সুনীতাদেবী বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতের দিকে জামাই ফোন করে বলেছিল স্টোভ ফেটে মেয়ের গায়ে আগুন লেগেছে। হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু আমরা এসে দেখলাম মেয়ে মারা গিয়েছে। ওরা মিথ্যা কথা বলেছে। ওকে এতটাই অত্যাচার করত, যে ও আর সহ্য করতে পারল না।’’