খবরের পরই সাফাই স্কুল চত্বর

বিদ্যালয়ের চারপাশে আগাছা, বাঁশবন, খাল এবং ডোবা রয়েছে। ফলে মশার দাপটে পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১২
Share:

পরিষ্কার: কাটা হচ্ছে বাঁশগাছ। নিজস্ব চিত্র

সংবাদপত্রে খবর বেরনোর পরদিনই তড়িঘড়ি সাফ করা হল স্কুল চত্বর। ছড়ানো হল মশা মারার তেল। উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের তুলসীবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কিশোরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

Advertisement

বিদ্যালয়ের চারপাশে আগাছা, বাঁশবন, খাল এবং ডোবা রয়েছে। ফলে মশার দাপটে পড়ুয়ারা ক্লাস করতে পারে না। মশার ধূপ জ্বালিয়েও কাজ হচ্ছিল না। বাধ্য হয়েই পড়ুয়াদের মশারির ভিতরে বসিয়ে ক্লাস করাচ্ছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

শুক্রবার এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন। এদিনই সকালে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্কুল চত্বর থেকে বাঁশ গাছ ও ঝোপঝাড় কেটে ফেলা হল। পাশাপাশি ডোবাগুলি পরিষ্কার করে ছড়ানো হল ব্লিচিং পাউডার এবং মশা মারার তেল।

Advertisement

উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের বিডিও নীতিশ কুমার মাহাতো বলেন, ‘‘বিষয়টি জানার পরই পঞ্চায়েতকে স্কুল চত্বর পরিষ্কার করার নির্দেশ দিই। শুক্রবার সকাল থেকেই পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। মশা দূর করার সবরকম চেষ্টা করা হবে।’’

তুলসীবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশ্বিনী মালিক বলেন, ‘‘নির্দেশ পাওয়া মাত্রই কাজ শুরু করে দিয়েছি।’’

ঝোপঝাড় ও বাঁশবন পরিষ্কার হওয়ায় খুশি শিক্ষকশিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা। প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত দেঁড়ে বলেন, ‘‘এ বার পড়ুয়ারা মশার হাত থেকে কিছুটা রেহাই মিলবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন