মুদির দোকানে বোমা ফেটে আহত ভ্যানচালক

বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার লিলুয়ার জগদীশপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণে আহত হন এক ভ্যানচালক। নাম দুখীরাম কয়াল। তাঁর বাড়ি জগদীশপুরের দাসপাড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ০২:০৪
Share:

বিস্ফোরণে আহত ভ্যানচালক দুখীরাম কয়াল। নিজস্ব চিত্র

সকালে আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। আতঙ্কিত বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন, বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে মুদির দোকানের পিছনে একটি গুদামে। বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে গুদামটির টালির চাল। আর গুদামে রক্তাক্ত অবস্থায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন এক প্রৌঢ়। যাঁর মাথার চুল পুড়ে গিয়েছে। দু’টি পা গুরুতর ভাবে জখম।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার লিলুয়ার জগদীশপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণে আহত হন এক ভ্যানচালক। নাম দুখীরাম কয়াল। তাঁর বাড়ি জগদীশপুরের দাসপাড়ায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ওই ভ্যানচালক মুদির দোকানে নুনের বস্তা নিয়ে এসে রাখার পরেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। পুলিশের ধারণা, বোমার উপরেই বস্তাটি রাখার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। বিস্ফোরণে আহত ভ্যানচালককে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন।

ঘটনার পরে মুদির দোকানের গুদামে কী করে বোমা এল— তা নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ওই বিস্ফোরণ নিয়ে জগদীশপুর তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোবিন্দ হাজরার অভিযোগ, “জগদীশপুরের বাসিন্দা প্রেম গুপ্তর বাড়িতে বোমা রাখা ছিল। সম্প্রতি তিনি বিজেপির নেতা হয়েছেন। এলাকায় তাঁর সুনাম নেই। দলের জন্য তিনি ওই গুদামে যে বোমা মজুত রেখেছিলেন তা প্রমাণিত।’’ গোবিন্দবাবু দাবি, ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালালে অস্ত্র ও বোমা মিলবে। পুলিশকে সে কথা জানানোও হয়েছে।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন প্রেমের কাকা সোমনাথ গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত তাঁদের বাড়ির দরজা খোলা থাকে। বহু লোক যাতায়াত করেন। কী করে এমন ঘটনা ঘটল তা বোঝা যাচ্ছে না।’’ তৃণমূলের তোলা অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি জানান, সেখানে তাঁরা প্রায় ৪৫ বছর ধরে বসবাস করছেন। কারও সঙ্গে কোনও বিবাদ বা শত্রুতা নেই। তাঁদের তিন ভাই প্রত্যেকেই যে যার কাজে ব্যস্ত। সোমনাথের কথায়, ‘‘অনেকে অনেক কিছুই বলতে পারেন। তবে কারও প্রতি আমাদের কোনও সন্দেহ নেই।’’ তাঁর দাবি, এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। বিস্ফোরণে আহত দুখীরাম কয়াল বলেন, ‘‘নুনের বস্তা ভ্যান থেকে মাটির উপরে ফেলার পরেই একটা ভয়াবহ আওয়াজ হয়। তার পরেই ধোঁয়ায় চার দিক অন্ধকার হয়ে যায়। কিছু দেখা যাচ্ছিল না। দমবন্ধ হয়ে আসছিল”।

পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, কে বা কারা বোমা রেখেছিল, তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন