ধৃত সমীরের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ

শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কাটমানি-পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে আর রক্ষা পেলেন না জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিআইবি) সাব-ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত থাকা সমীর সরকার। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও দীপঙ্কর দে

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৩৬
Share:

সমীর সরকার।

কখনও তাঁর বিরুদ্ধে গাছে বেঁধে লাঠি দিয়ে চোর পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। কখনও শোনা গিয়েছে শহরের ফ্ল্যাটে তল্লাশির নামে মহিলাদের হেনস্থা করার অভিযোগ। আবার কখনও তৃণমূলের মিছিলে অতি সক্রিয় হয়ে সাংবাদিকদের লাঠি পেটানোয় ইন্ধনেও তাঁর দিকে আঙুল উঠেছে।

Advertisement

অভিযোগ অনেক থাকলেও এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কাটমানি-পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে আর রক্ষা পেলেন না জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিআইবি) সাব-ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত থাকা সমীর সরকার। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল। একইসঙ্গে ‘সাসপেন্ড’ও হলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। আর এই গ্রেফতারির পরেই শ্রীরামপুর থানা থেকে শুরু করে আদালতের অলিন্দ— সর্বত্র মুখে মুখে ফিরেছে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা পুরনো অভিযোগগুলি। শুধু তা-ই নয়, তিনি নাকি শাসকদলের এতটাই ঘনিষ্ঠ ছিলেন যে জেলায় তাদের কোনও একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে বিরোধী গোষ্ঠীকে উসকে দিয়েছেন, শোনা গিয়েছে এ কথাও!

বছর আটত্রিশের সমীর আদতে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। ২০০৯ সাল থেকে তিনি হুগলি জেলার বিভিন্ন থানায় কাজ করেছেন। কিন্তু কেন তাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ? তৃণমূলেরই একাংশের দাবি, দলের জেলা স্তরের এক নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই নিজেকে কেউকেটা ভাবতেন সমীর। সেটাই কাল হল। ঠারেঠোরে একই কথা বলেছেন কিছু পুলিশকর্মীও।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনের সময়ে জাঙ্গিপাড়া থানার ওসি ছিলেন সমীর। ভোটের আগে একদিন সেখানকার মুণ্ডলিকায় বিজেপি-তৃণমূলের মারপিট হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায়। কিন্তু অভিযোগ, বিজেপি-র কাউকে সমীরবাবু গ্রেফতার করেননি। উল্টে তৃণমূল সমর্থকদের গ্রেফতারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে থানায় বিক্ষোভ দেখায়। স্মরাকলিপিও দেয়। মাসকয়েক আগে পোলবা থানার দায়িত্বে থাকাকালীন চুরির ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গাছে বেঁধে তিনি নৃশংস ভাবে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ছবি টিভি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন