প্রতীকী ছবি
হুগলিতে করোনা সংক্রমণের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। শুধু গত মাসেই দু’হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমণের হারের এই ঊর্ধ্বগতি কি গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত? নিশ্চিত হতে শনিবার থেকে যাচাই করা শুরু করল জেলা প্রশাসন।
এ দিন গোঘাট-২, পুরশুড়া এবং চণ্ডীতলা-১ ও ২ ব্লকের ‘গ্রিন জ়োন’-এর (যেখানে এ পর্যন্ত সংক্রমণের নজির মেলেনি) পোলিং স্টেশনগুলিতে (ভোটগ্রহণ কেন্দ্র) জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা গাড়ি নিয়ে গিয়ে পথচলতি মানুষের লালারস এবং নাকের গ্রন্থিরসের নমুনা সংগ্রহ করেন। এই কাজ ধারাবাহিক ভাবে চলবে জানিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রলয় মজুমদার বলেন, “হুগলিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখতেই এই ব্যবস্থা। এ দিন চারটি ব্লকের ‘গ্রিন জ়োন’ থেকে ২০০ জনের লালারস এবং গ্রন্থিরসের নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। সেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।” মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা দেখতে চাইছি, যে সব জায়গা নিরাপদ (সেফ) বলছি আমরা, সেগুলো আদৌ নিরাপদ আছে কিনা। ওইসব জায়গায় কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকলে তাঁর থেকে যাতে আর কেউ সংক্রমিত না-হন বা ছড়ায়, তাঁকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হবে।"
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব এলাকা ‘গ্রিন জ়োন’ হিসেবে এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত, সেখানেই এই কাজ চলবে। সেই সব মানুষদের থেকেই নমুনা নেওয়া হচ্ছে, যাঁদের এলাকা ছেড়ে সচরাচর অন্যত্র কোথাও যেতে হয় না। গোঘাট-২ ব্লকের ১৪৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি পড়ছে ‘রেড জ়োনে’। বাকি ১১৮টি ‘গ্রিন জ়োন’। তা রয়েছে বদনগঞ্জ-ফলুই ১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। এ দিন ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ৬৪ জনের লালারস এবং নাকের গ্রন্থিরসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ দিন আরামবাগের কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জেলার অন্যতম কোভিড কো-অর্ডিনেটর, চিকিৎসক অশোককুমার নন্দী। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর অশোকবাবু-সহ চার জনকে হুগলি জেলার কোভিড কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিযুক্ত করে। অশোকবাবু জানান, স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কোভিড হাসপাতাল, সেফ হাউস ইত্যাদির সংযোগ রক্ষা তাঁদের অন্যতম কাজ। কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শনের পরে তিনি জানান, এখানে যথাযথ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। কারও তেমন কোনও অভিযোগ নেই।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)