Visva Bharati

বেতন-নোটিস কেন, জানতে চায় মন্ত্রক 

আগেভাগে এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি দেওয়াও ঠিক হয়নি বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। 

Advertisement

সৌরভ চক্রবর্তী 

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:১৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত

অর্থাভাবে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিতে দেরি হতে পারে বলে সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানাল, অর্থাভাবের কথা ঠিক নয়। আগেভাগে এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি দেওয়াও ঠিক হয়নি বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতী একটি নোটিস দিয়ে জানায় যে, বিশ্বভারতীর সঙ্গে সম্পর্কিত সকল কর্মী-অধ্যাপকের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পেতে দেরি হতে পারে। এর কারণ সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার জানিয়েছিলেন, প্রতি মাসে বেতন দিতে খরচ হয় প্রায় ২২ কোটি টাকা। অথচ মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের থেকে এই মাসে প্রায় ৭ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। অর্থাভাবের জন্যই ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিতে বিলম্ব হতে পারে। এই বিজ্ঞপ্তির কথা জানাজানি হতেই বিভ্রান্তি ও ভয় ছড়ায় বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপক এবং পেনশনগ্রাহকদের বড় অংশের মধ্যে।

এই বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব গিরিশ হোসুরের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সচিব বলেছেন, ‘‘এই তথ্য (অর্থাভাব) সম্পূর্ণ ভুল। বিশ্বভারতীর ফান্ড সঠিক সময়েই রিলিজ় করে দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই টাকা রিলিজ়ের সময় এখনও পেরিয়ে যায়নি। মাঝেমধ্যে এক-দুই দিন দেরি হলেও তা খুব একটা চিন্তার বিষয় নয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হওয়ার আগেই কী ভাবে উপাচার্য এমন একটি নোটিস জারি করলেন, তা আমাদের জানা নেই। এই বিষয়ে আমরা উপাচার্যের কাছে উত্তর চেয়ে পাঠাব।’’

Advertisement

মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই বেতন সংক্রান্ত ওই জারি নিয়ে ক্ষোভ

আরও বেড়েছে বিভিন্ন মহলে। বিশ্বভারতীর একটি অধ্যাপক সংগঠনের এক কর্মকর্তার অভিযোগ, ‘‘মন্ত্রকের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, উপাচার্য ওই নোটিস দিয়েছেন অধ্যাপক ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য।’’

বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিব (অ্যাকাউন্টস) সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘মন্ত্রক উত্তর চেয়ে পাঠালে আমরা নিশ্চয়ই উত্তর দেব। তবে, এটা ঘটনা যে, আমাদের তহবিলের অভাব রয়েছে। মাইনে বাবদ আমরা সারা বছরের জন্য ২৩০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম, মন্ত্রক ১৬০ কোটি টাকা দিয়েছে। সেই টাকায় দশ মাসের মাইনে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকি টাকা না পেলে আমাদের পক্ষে মাইনে দেওয়া সম্ভব নয়।’’ তাঁর আরও দাবি, মন্ত্রক যে ‘ফান্ড’ দিয়েছে, তাতে বিশ্বভারতীর বাজেটের থেকে কম টাকা অনুমোদিত হয়েছে। পুরো টাকা পেলে তবেই বাকি দুই মাসের মাইনে দেওয়া সম্ভব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন